শাবির শিক্ষার্থী খুনে তিনজন, কল লিস্ট মুছে ফেলেছেন সেই ছাত্রী

| বুধবার , ২৭ জুলাই, ২০২২ at ৩:৪৭ পূর্বাহ্ণ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের হত্যার ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা এক ছাত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টার মাথায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
খুনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক আমিনা পারভীন গতকাল রাত সোয়া ৮টায় বলেন, ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, তিনজন মাস্ক পরা লোক এসে বুলবুলকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে। ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে থাকা এবং তার সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাওয়া তদন্ত কমিটির এ সদস্য আরও জানান, ওই ছাত্রী তার মোবাইল ফোনের কল লিস্টও মুছে ফেলেছেন। খবর বিডিনিউজের।
সোমবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের ভেতরে অজ্ঞাত হামলাকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ। এ সময় তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী সঙ্গে ছিলেন। বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের সামনের টিলায় বুলবুলকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। বুলবুল আহতের ঘটনার পর ওই ছাত্রী অসুস্থ হলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক আমিনা পারভীন বলেন, ‘আজও তাকে আমরা হাসপাতালে দেখে এসেছি বেলা ৩টার দিকে। এরপর বিকালে সে হাসপাতাল থেকে চলে এসেছে। তাকে হাসপাতালের ছাড়পত্রও দেওয়া হয়নি।’
হাসপাতাল থেকে চলে আসার পর ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এককিলো রোডের যাত্রী ছউনিতে বসে থাকতে দেখে পুলিশ সদস্যরা। ওই সময় তারা ছাত্রীকে প্রক্টরের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে সাড়ে ৭টার দিকে সেখান থেকে তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৮টা পর্যন্ত তারা ছিলেন। পরে তাকে আবার প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
তদন্ত কমিটির সদস্য আমিনা পারভীন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চাচ্ছিলেন যে, এখন যেমন সময় আছে, এই সময়ে নিয়ে গেলে হয়তো সে বিষয়টি আরও ভালোভাবে বলতে পারবে। কারণ সোমবার রাতে সাড়ে ৭টার সময়ই ঘটনা ঘটেছিল। ছাত্রীর ভাষ্য, বুলবুল আর সে ঘটনাস্থলে বসেছিলেন। হঠাৎ করে ওই স্থানে তিনজন লোক আসেন। তাদের সবার মাস্ক পরা ছিল। তারা এসে বুলবুলকে একটু দূরে সরে নিয়ে যায়। এ সময় ওই ছাত্রী অন্যদিকে থাকিয়ে কাউকে ডাকতে চেষ্টা করছিলেন। তারপর বুলবুলের দিকে তাকালে দেখেন, বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করে অজ্ঞাতনামারা চলে যাচ্ছে।’
আমিনা পারভীন আরও বলেন, ‘ওই ছাত্রীর মোবাইলের কল লিস্ট চেক করেছি আমরা। সে সব কল লিস্ট ডিলিট করে দিয়েছে। এখন আমরা ভাবছি তাকে কোথায় রাখা যায়। তাকে কি হলে রাখব নাকি অন্য কোথাও- এটা আমরা ভেবে দেখছি।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডের ৯নং পৌর ওয়ার্ড ও রাঙামাটির লংগদু ইউপিতে উপনির্বাচন আজ
পরবর্তী নিবন্ধরাউজানে পৃথক হত্যা মামলার ২ আসামি গ্রেপ্তার