স্বামী বিয়ে করে অন্যত্র চলে গেছেন। গার্মেন্টসে চাকরি করে একমাত্র সন্তান শান্ত শীলকে মানুষের মতো মানুষ গড়ে তুলবেন- এমনটাই আশা চিল গৌরী শীলের। সেই সবেধন নীলমণিও মীরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় চলে গেছেন না ফেরার দেশে। স্বামী নেই, সন্তান নেই। কাকে নিয়ে বাঁচবেন গৌরী শীল?
হাটহাজারীর কে এস নজু মিয়া হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করে একই উপজেলার জিয়াউর রহমান কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছিলেন শান্ত। গত ২৯ জুলাই (শুক্রবার) বন্ধুদের সঙ্গে খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি। ছেলের শোকে মুহ্যমান গৌরীর এখন কথা বলার শক্তিও নেই।
শান্ত শীলের ঠাকুরমা বলেন, শান্তর বাবা রনি শীল বেশ কয়েক বছর আগে গৌরীকে ফেলে অন্যত্র বিয়ে করেছেন। তাদের বাড়ি হাটহাজারী সরকার হাট কালীবাড়ি এলাকায়।
বাবা না থাকায় তারা বালুছড়া তুফানি রোড এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করে। শান্তই ছিল একমাত্র অবলম্বন।
শান্ত শীলের মাসিতো ভাই নয়ন শীল বলেন, আমার মাসি গার্মেন্টসে চাকরি করে। শান্ত আমার বন্ধু ও ছোট ভাই। সে বেড়াতে যেতে চাইলে আমি প্রথমে তাকে বারণ করি। পরে যখন বলেছে, স্যারদের সঙ্গে বেড়াতে যাচ্ছে, তখন আর বারণ করিনি। এর মধ্যেই দুর্ঘটনাটি ঘটে গেলো।
কে এস নজু মিয়া হাই স্কুলের শিক্ষক সাধন চন্দ্র নাথ বলেন, শান্ত খুব ভদ্র ছেলে ছিলো। ২০২০ সালে আমাদের স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে। আমরা জানতাম তার বাবার অবর্তমানে মা-ই তার পড়ালেখার খরচ মেটাতেন। এখন তার মায়ের স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে।