শান্তি প্রতিষ্ঠার স্তম্ভ হিসেবে বেতারকে গড়ে তুলতে চায় জাতিসংঘ

বিশ্ব বেতার দিবস আজ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

বিশ্ব বেতার দিবস আজ। জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটি উদযাপনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে একটি অনুসরণীয় মডেল দেশ হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হচ্ছে। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ বেতার, প্রাইভেট এফএম ও কমিউনিটি রেডিওগুলো। আগামীর বাংলাদেশ হবে রেডিওর বাংলাদেশ। সরকার ইতোমধ্যে প্রাইভেট এফএম এবং কমিউনিটি রেডিওর অনুমোদনের পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতারও অনেকগুলো আঞ্চলিক বেতার কেন্দ্র এবং এফএম পরিচালনা করছে।

বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) ২০০০ সালে থেকে বাংলাদেশে গ্রামীণ জনপদে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর মধ্যে উন্নয়নমূলক তথ্য ও জ্ঞান বিনিময়ের পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি সেবা, জীবনঘনিষ্ট যাবতীয় তথ্য জনগণের মাঝে সহজ ভাষায় প্রচারের লক্ষ্যে কমিউনিটি রেডিও চালু করতে সরকারের সঙ্গে অ্যাডভোকেসি করে আসছে। রেডিওর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করার লক্ষ্যে বিশ্ব বেতার দিবস উদযাপিত হয়। স্পেন রেডিও সংস্থার পক্ষ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বেতার দিবস উদযাপনের জন্য ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো প্রস্তাব করে। পরে ইউনেস্কোর সদস্য দেশগুলো ২০১১ সালে উদযাপনের ঘোষণা করে এবং ২০১২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক দিবসটি উদযাপনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুযারি থেকে বিশ্ব বেতার দিবস পালন করে আসছে। অপরদিকে ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ রেডিওর বার্ষিকীও। ১৯৪৬ সালের এইদিনে শুরু হয়েছিল জাতিসংঘ রেডিও।

এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘রেডিও অ্যান্ড পিস’ বা বেতার ও শান্তি। বেতার মানুষকে যুদ্ধকালীন জরুরি অবস্থায়, অস্থির সময়ে শান্তির পথ দেখাতে পারে। তেমনি শান্তিতেও দিতে পারে বিনোদন ও সুন্দর জীবন যাপনের নির্দেশনা। রেডিও যেমন সংঘাতকে উস্কে দিতে পারে, তেমনি সমাজ পরিবর্তনেও রাখতে পারে ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধে বেতারের ভূমিকা ছিল অসামান্য। ইউনেস্কের মতে, অগণিত শ্রোতার কাছে পৌঁছানোর এক অনন্য শক্তি রয়েছে বেতারের। এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সংঘাত প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি স্তম্ভ হিসেবে রেডিওকে গড়ে তুলতে চায় জাতিসংঘ।

বাংলাদেশ সরকার দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয় এই ব্যাপারে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তথ্য মন্ত্রণালয় কমিউনিটি রেডিও স্থাপন, সমপ্রচার ও পরিচালনা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে কমিউনিটি রেডিও বিষয়ক একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। বাংলাদেশ কমিউনিটি রেডিও বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়নকারী দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাঁচ দিনেও জানা যায়নি নতুন বইয়ের সংখ্যা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে গ্রুপ থিয়েটার চর্চার ৫০ বছর