শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ল্যাভরভের সাথে বৈঠক

| শনিবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৭:১৩ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনার মাধ্যমে এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জি২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য ভারতের নয়াদিল্লি যাওয়ার আগে গতকাল সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ‘পূর্ব এশিয়া’ সম্মেলনে যোগদান শেষে দুই দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছেন ল্যাভরভ। স্বাধীনতার পর এটিই প্রথম কোনো রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর। বৃহস্পতিবার রাতে ল্যাভরভ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এদিকে গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। পরে জাদুঘরের অভ্যন্তর পরিদর্শন করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। গত বছরের নভেম্বরে ল্যাভরভের ঢাকা সফরের কথা থাকলেও সময়সূচি পরিবর্তনের কারণে তাকে তা বাতিল করতে হয়। খবর বাসসের।

কোভিড১৯ মহামারী, রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে খাদ্য, জ্বালানি ও সারের সংকটে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে অর্থনৈতিক ঝুঁকির সম্মুখীন না হয় সেজন্য একটি সমাধান খুঁজে বের করার জন্য প্রধানমন্ত্রী রাশিয়াকে অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব শান্তিপূর্ণ উপায়ে যুদ্ধ বন্ধ করা প্রয়োজন। বৈঠকে উভয় নেতা বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়া দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত বন্ধু। তারা এ সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী বন্ধুত্বপূর্ণ দুটি দেশের মধ্যে ব্যবসাবাণিজ্য বাড়ানোর আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশে রাশিয়ার আরো বেশি বিনিয়োগ কামনা করেন।

জবাবে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক পণ্য (আরএমজি) আমদানির কথা ভাবছেন।

এ লক্ষ্যে ল্যাভরভ বাংলাদেশের কাছে আরএমজি পণ্য আমদানি এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আহ্বান করেন যা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরানকে বরখাস্ত করা হয়েছে : আইনমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধযুক্তিসঙ্গত বিতর্ককে স্বাগত জানায় সরকার : তথ্যমন্ত্রী