চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ছিনতাইয়ের শিকার এবং ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগর থেকে ক্যাম্পাস অভিমুখী শাটল ট্রেন ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন এলাকার কাছাকাছি গেলে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মোরসালিন আহমেদ মিরাজ ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী প্রথমে চবি মেডিকেলে এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর পরিবারের চাওয়া মতো বাসায় ফিরে যান।
ওই ট্রেনে থাকা এক শিক্ষার্থী জানান, আহত শিক্ষার্থী এবং তার বান্ধবী ট্রেনের শেষের দ্বিতীয় নম্বর বগিতে ছিলেন। ওই বগিতে আর কোনো শিক্ষার্থী ছিলেন না। এই সুযোগে দুইজন ছিনতাইকারী বগিতে উঠে এবং ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে আসার আগ মুহূর্তে তাদের কাছ থেকে ফোন এবং টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। ভয় পেয়ে আহত শিক্ষার্থীর বান্ধবী ট্রেন থেকে লাফ দেয়। পরে ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা ও ফোন ছিনতাইয়ের সময় তাকে ছুরি দিয়ে মুখে ও শরীর আঘাত করে ছিনতাইকারীরা। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর চিৎকারে ট্রেন থামানো হয়। তবে তার আগেই দুই ছিনতাইকারী লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে চবি প্রক্টর প্রফেসর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ আজাদীকে বলেন, আজ (রোববার) সকালের ট্রেনে শহর থেকে ক্যাম্পাসে আসার সময় এক শিক্ষার্থী ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। টাকা ও ফোন ছিনতাইয়ের সময় ওই শিক্ষার্থীকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে ছিনতাইকারীরা। এসময় ওই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। তার সাথে থাকা প্রায় ৮ হাজার টাকা নিয়ে যায়, মোবাইলটি নিতে পারেনি। শাটলে থাকা একজন আমাকে কল দেয়। এরপর আমরা সাথে সাথে এম্বুলেন্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে চবি মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, ডাক্তার জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী আশঙ্কামুক্ত। এরপর ওই শিক্ষার্থীর পরিবার তাকে বাসায় নিয়ে যায়। আর ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে এক বান্ধবী ছিলেন বলে শুনেছি কিন্তু এ বিষয়ে ভুক্তভোগী না জানানোই আমরা পরে জানতে পেরেছি। ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি।