শহীদ হাদি জাতীয় জাগরণ ও ঐক্যের আলোকবর্তিকা

নোঙর সাহিত্য আড্ডায় বক্তারা

| শনিবার , ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ

শহীদ শরীফ ওসমান হাদি আমাদের জাতীয় জাগরণ এবং ঐক্যের আলোকবর্তিকা, তার আত্মদান হাজার বছর ধরে আমাদের সাংস্কৃতিক বোধের উত্থান এবং ভিত নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শহীদ হাদি আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন কীভাবে আত্মমর্যাদা নিয়ে, স্বাধীন ধর্মীয় এবং বর্ণগত স্বকীয়তা অক্ষুণ্ন রেখে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হয়। তাঁর শাহাদাত আধিপত্যবাদী এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের গালে চপেটাঘাত হয়ে থাকবে। শহীদ কবি সীমান্ত শরীফ (শরীফ ওসমান হাদি)কে নিবেদিত নোঙর বিশেষ সাহিত্য আড্ডা লেখক সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীগণ এসব মন্তব্য করেন। গতকাল শুক্রবার পাঁচলাইশস্থ মাটি মিলনায়তনে এ সাহিত্য আড্ডা পরিচালনা করেন কবি ও কন্টেন্ট নির্মাতা হানিফ মজুমদার। সভাপতিত্ব করেন নোঙরের প্রকাশক প্রাবন্ধিক আমীরুল ইসলাম। শহীদ কবি সীমান্ত শরীফের উপর মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কবি ও চিন্তক সৈয়দ আহমদ শামীম। আলোচনা করেন নাট্যজন তানবীর মুহাম্মদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা ইসমাইল চৌধুরী, নোঙর সম্পাদক আবু সাঈদ হাননান, জুলাই বিপ্লবী ওবায়দুল্লাহ আফজাল, কবি মোসলে মহসিন, ছোটন ইসলাম, অনুবাদক সাইফুল্লাহ সায়েম প্রমুখ। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন আবৃত্তিকার রাশেদ মুহাম্মদ, সাইমুম মুর্তজা, মিজান মনির, আশফাকুর রহমান প্রমুখ। সাহিত্য আড্ডা থেকে নীতিনির্ধারণী মহলের কাছে দাবি উত্থাপন করা হয়।

দাবিগুলো হচ্ছে হাদির কবর ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে হতে হবে, ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারকে জাতীয়করণ করতে হবে, বিভাগীয় ও জেলা শহরে ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার স্থাপন করতে হবে, জাতীয় মহাসড়কের নাম হাদি সড়ক করতে হবে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটা করে শরীফ ওসমান হাদি হল করতে হবে, পাঠ্যপুস্তকে হাদির গুরুত্বগাথা অংশীভূত করতে হবে, হাদির নামে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রবর্তন করতে হবে। সভাপতি আমীরুল ইসলাম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখানকায়ে কাদেরীয়া চিশতিয়া আজিজিয়ায় মিলাদ মাহফিল
পরবর্তী নিবন্ধকাজেম আলী স্কুলে আহরণ মেধা বিকাশ উদ্যোগ উদ্বোধন