চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের দ্বারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র বারবার ভুলুণ্ঠিত হচ্ছে। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর গুলিতে ডা. শামসুল আলম খান মিলন নিহত হওয়ার পর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন গণ অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি স্বৈরাচার এরশাদ ছাত্র– জনতা ও পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ রাজপথের গণআন্দোলনে বাধ্য হয়ে ক্ষমতা ত্যাগের ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপির বিজয় লাভের পর আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
তিনি গতকাল সকালে স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে নিহত তৎকালীন বিএমএ এর যুগ্ম মহাসচিব শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নিউ কনফারেন্স হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ ডা.শামসুল আলম খান মিলনের শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. তসলিম উদ্দিন। সঞ্চালনা করেন ডা. সাইফুদ্দিন সোহাগ ও ডা. মেহেদী হাসান ইমাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, চমেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আব্দুর রব, অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দিন, ডা. আব্দুল মোত্তালিব। অনলাইনে বক্তব্য রাখেন শহীদ ডা. মিলনের মা সেলিনা আক্তার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব ও চমেক কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ইব্রাহিম চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ড্যাব চমেক শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়েজুর রহমান, ড্যাবের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব ডা. সরোয়ার আলম, প্রফেসর ডা. এ এস এম জাহেদ, ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, ডা. এস এম কামরুল হক, ডা. শামীম আল মামুন, ডা. রিফাত কামাল রনি, ডা. তানভীর হাবীব তান্না, ডা. সাদ্দাম হোসেন ও ডা. ইয়াসির আরফাত।
আলোচনা সভার শুরুতে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনসহ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারর্পাসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. তসলিম উদ্দিন বলেন, ডা. মিলনের আত্মত্যাগের মাধ্যমে যে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে সেই স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ আবার যেন কায়েম হতে না পারে সেদিকে সবার নজর রাখতে হবে। অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে।









