শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে দেয়া সমন আটকে রাখেন বেঞ্চ সহকারী!

বদলির পাশাপাশি তদন্ত টিম গঠন

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১০ অক্টোবর, ২০২৩ at ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ

দুদকের সাবেক কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহকে যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মূলে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল সেটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ পরোয়ানার আগে আদালত কর্তৃক যে সমন জারি করা হয়েছিল সেটি শহীদুল্লাহ বরাবর পৌঁছায়নি। তার বরাবর পৌঁছানোর জন্য আদালত কক্ষ থেকে নেজারত শাখায় সমনটি পাঠানোর কথা থাকলেও বেঞ্চ সহকারী তা নিজের কাছে আটকে রাখেন।

এমন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট৬ এর বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ হারুন উর রশিদকে ম্যাজিস্ট্রেসির নেজারত শাখার ক্যাশিয়ার পদে বদলি করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহকে প্রধান করে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। গত রবিবার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেঞ্চ সহকারীকে বদলি ও এ ঘটনায় তদন্ত টিম গঠনের এই নির্দেশ দেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মো. আবুল কালাম আজাদ আজাদীকে বলেন, বেঞ্চ সহকারীকে বদলি করা হয়েছে, তদন্ত টিমও হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা কী সেটি তদন্তে বের হয়ে আসবে।

আদালতসূত্র জানায়, গত ২৯ আগস্ট তানিয়া নামের এক নারী দুদকের সাবেক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন। সেদিন আদালত তার বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেন। ২৭ সেপ্টেম্বর সমন ফেরতের জন্য রাখা হয়। কিন্তু আদালত কক্ষ থেকে নেজারত শাখা হয়ে সমনটি শহীদুল্লাহর কাছে যায়নি। এর মধ্যে গত ১ অক্টোবর শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু হয়। যেটি থানায় পৌঁছায় পরদিন। সেদিনই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে থানায় শহীদুল্লাহ মৃত্যুবরণ করেন। দুদক ও শহীদুল্লাহর পরিবারের পক্ষ থেকে এটিকে হেফাজতে মৃত্যু বলছেন। থানা পুলিশের বক্তব্য হচ্ছে, থানায় নেওয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে মারা যান। দুদকের সাবেক উপপরিচালক মো. শহীদুল্লাহ নগরীর কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। বছর কয়েক আগে তিনি অবসরে যান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসমঝোতার পথ বন্ধ করেছে বিএনপি
পরবর্তী নিবন্ধঅবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর