ঋতুচক্রের পালা বদলের পালায় এসেছে শীত। বাংলা ঋতু অনুযায়ী পৌষ-মাঘ দুই মাস শীতকাল। ওই হিসেবে আজ সোমবার চলতি শীত মৌসুমের চতুর্থ দিন। যদিও নগরে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে না। অবশ্য শেষ রাতের কুয়াশা এবং হালকা ঠান্ডা জানান দিচ্ছে শীত এসে গেছে, যা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদগণ।
অতীতে নভেম্বর থেকে ধীরে ধীরে শীতের আগমনী হাওয়া লক্ষ্য করা যেত। ডিসেম্বর মাসের শুরুতে এসে বাড়ত শীতের প্রকোপ। এবার ব্যতিক্রম। চলতি মৌসুমে মধ্য ডিসেম্বরে এসেই কেবল শীত শুরু হলো। তবে বিলম্বে এলেও এবার শীতের তীব্রতা বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে নগরে শীতের প্রকোপ কম হলেও গ্রামে বেশ কয়েকদিন ধরে শীত অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকেই গ্রামাঞ্চলে লোকজনকে শীতের কাপড় পরতে দেখা গেছে। এছাড়া তাপমাত্রার ক্ষেত্রেও শহর ও গ্রামে পার্থক্য লক্ষ্যণীয়। গতকাল নগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ শহরের পাশেই সীতাকুণ্ডে এ তাপমাত্র ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া সন্দ্বীপ উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট এলাকার বাসিন্দা সৈকত আজাদীকে বলেন, সকাল সাতটা-আটটায়ও কুয়াশা পড়ে। সন্ধ্যার পর থেকে শীত অনুভূত হয়। ভোররাতে বেশ ভালোই শীত পড়ে।
এদিকে বিলম্বে এলেও সামনে শীতের তীব্রতা বাড়ার তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অধিদপ্তর ডিসেম্বর মাসের জন্য দেয়া দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে। মাসের শেষার্ধ্বে দেশের কোথাও কোথাও ১-২টি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দেশের নদী অববাহিকায় ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন এবং অন্যত্র হালকা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এছাড়া নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী মাসে (জানুয়ারি) দেশে ২-৩টি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে; যার মধ্যে দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহে (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রূপ নিতে পারে। জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি অথবা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা অথবা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এদিকে শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে শীতবস্ত্রেরও চাহিদা বাড়ছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের শীত কাপড় কিনতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। বাদ নেই কম্বলও।