প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হচ্ছে বান্দরবান। পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় এ জেলার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশে বিদেশেও। এ শিল্পের উন্নয়নে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়দের আরও যত্নশীল ও সচেতন হতে হবে। গত সোমবার সকালে বান্দরবানের জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি এসব কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, গোটা জেলাটিকে পর্যটন বান্ধব গড়ে তোলতে হবে। পর্যটন শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় রিক্সা–মোটরসাইকেল, সিএনজিসহ বিভিন্ন গাড়ির গ্যারেজ, ভাঙ্গাচুরার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো শহরের মূল সড়কগুলো সরিয়ে পর্যটকদের চোখের আড়ালে নিতে হবে। জরাজীর্ণ দোকান অবকাঠামো গুলো ভেঙে সাজানো গোছানো পরিচ্ছন্ন পর্যটন শহর গড়ে তোলতে পরিপাটি রাখতে হবে যাতে পর্যটকরা আকৃষ্ট হয়। শহরের ফুটপাত–রাস্তাঘাট অলিগলি গুলো দখলমুক্ত রাখতে হবে যাতে ভ্রমণকারী পর্যটকরা নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে। তিনি বলেন, পর্যটন মানে হচ্ছে আতিথেয়তা। সেবার মন–মানসিকতা নিয়ে
সুন্দর ব্যবহার এবং আতিথেয়তায় মুগ্ধ করে তোলতে হবে পর্যটকদের। ঈদকে সামনে রেখে পর্যটকের ঢল নামবে জেলায়।
এসময়ে কোনো ধরনের পর্যটক হয়রানি এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পেলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টরা মনিটরিং কমিটি গঠন করে তদারকি করার পরামর্শ দিয়েছেন ডিসি।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আবু তালেব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মমতা আফরিন, জেলা প্রশাসনের এনডিসি আসিফ রায়হান, জেলা হোটেল রিসোর্ট ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, ট্যুরিস্ট জীপগাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি নাছিরুল আলম, ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম, রেষ্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মাস্টার, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।