নয় সে এখন গোমড়ামুখি, মুখ দেখি তার ফর্শা
আকাশটাকে কাঁদায় না আর চিঁছকাদুনে বর্ষা
গায় দেখি তার ফকফকে বেশ মেঘের শাদা ওড়না
আমার চোখে জড়িয়ে রাখে কী এক মায়ার ঘোর না !
সাজিয়ে নিছে নানান রঙে নিসর্গ তার চারপাশ
মাঠজুড়ে কেউ বিছিয়ে দিছে ঘাসের সবুজ কার্পাস
কী আটখানা ফড়িঙছানা লাফায় খুশি তার যতো
দেখেই আমার করার মতো কিছুই তো নেই কার্যত।
খালপাড়ে সেই কাঁশকুমারী দেখি সে বেশ আহ্লাদি
নাচতে থাকে তার মতো সে হাওয়ার সাথে পাল্লা দি‘
যখন কারোর চোখেই পড়ে দৃশ্যটা সেই দূর থেকে
হোক না তখন রোদের দুপুর চায় না বলো ঘুরতে কে ?
তাই আমি ঠিক সেটাই করি – চায় মনে যা করতে
ঘুরতে থাকি আমার মতোই আমার সে আবর্তে
ধার ধারি না কারোর আমি তোমরা যে যা‘ই ভাবো হে
নিজকে আমি রাঙাই নিজে শরৎকালের আবহে ।