বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে দেশে দৈনিক নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত কোভিড রোগীর হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২০ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ১৪৬ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। তাতে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়াচ্ছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
এর আগে সর্বশেষ শনাক্তের হার পাঁচের উপরে ছিল গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের সময় গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে দৈনিক শনাক্তের হার ৩০ শতাংশও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এরপর তা নামতে নামতে জুলাই মাসে ২ শতাংশের নিচে চলে আসে।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রনের বিস্তার। দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ ছাড়ায় গত ৩ জানুয়ারি এবং ৪ শতাংশ ছাড়ায় গত ৫ জানুয়ারি। দুই দিনের মাথায় আজ শুক্রবার তা ছাড়িয়ে গেল পাঁচ শতাংশ।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯১ হাজার ৯৩ জনে। গত এক দিনে আরও একজন কোভিড রোগীর মৃত্যু হওয়ায় সব মিলিয়ে ২৮ হাজার ৯৮ জনের মৃত্যু হল এ ভাইরাসে।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১৪০ জন নতুন রোগী শনাক্ত এবং ৭ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল। সেই হিসেবে গত এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সামান্য বেড়েছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ১৭০ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৫৩৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। গত বছরের ৩১ আগস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
