শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মারার পরদিন ইসরায়েল বলছে তারা যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে

| বৃহস্পতিবার , ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ at ৭:০৩ পূর্বাহ্ণ

বিমান হামলায় ১০৪ জন নিহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্য এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যেই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলবে। ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের হামলায় এক সেনা নিহত হয়েছে অভিযোগ করে ইসরায়েল মঙ্গলবার রাতে তুমুল বিমান হামলায় নামে; ওই হামলায় প্রাথমিকভাবে ২৬ জন নিহত হয়েছে বলে খবর মিললেও পরে সংখ্যা বাড়তে থাকে। এমনিতেই ভঙ্গুর অবস্থায় থাকা যুদ্ধবিরতি এ হামলার পর আরও নাজুক অবস্থায় গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

গতকাল বুধবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলা অব্যাহত রাখবে এবং কোনো লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে তার দৃঢ় জবাব দেবে। এদিকে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলা সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি ঝুঁকিতে নেই। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, মঙ্গলবার থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১০৪ জনের মধ্যে ২০ জন নারী ও ৪৬টি শিশু রয়েছে। নিহতের এ সংখ্যা রয়টার্স যাচাই করে নিশ্চিত হতে না পারলেও তাদের এক ভিডিওতে হাসপাতালের ভেতর এক শোক মিছিলে একাধিক নারী ও শিশুর মৃতদেহ দেখানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

যা বুঝলাম তারা (ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী) এক ইসরায়েলি সেনাকে মেরেছে। তাই ইসরায়েলিরাও পাল্টা আঘাত করেছে, তাদের আঘাত করারই কথা। এমনটা যখনই ঘটবে, তখনই তারা পাল্টা আঘাত হানবে, বলেছেন ট্রাম্প। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বুধবার তাদের ওই সৈন্যের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। কিছুই যুদ্ধবিরতি নষ্ট করতে পারবে না। আপনাদের বুঝতে হবে হামাস মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির ক্ষেত্রে খুবই ক্ষুদ্র একটা অংশ। তাদেরকে সেরকমই আচরণ করতে হবে, এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের এমনই বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইসরায়েলি এক সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের সেনারা যুদ্ধবিরতিতে নির্ধারিত তথাকথিত ‘ইয়োলো লাইনের’ ভেতরেই ছিল, সেখানে হামলা চালিয়ে হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। দক্ষিণ গাজার রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে হামাস। তারা বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। দুই পক্ষের এই যুদ্ধবিরতি গত ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়, যার মধ্য দিয়ে থামে দুই বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবড় শক্তি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে, সতর্ক থাকতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধলুসির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা