ইনজুরিটা পিছু ছাড়ছেনা তামিমের। পিটের ইনজুরির কারনে একের পর এক সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হচ্ছে তামিমকে। কিছুদিন আগে এই আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচেই আগেই নিজেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে তামিমকে। সে শংকা এখনই পিছু ছাড়ছেনা তামিমের। তাহলে ওয়ানডে সিরিজেও কি খেলা হাবেনা তামিমের। সে প্রশ্নটা আরো বড় হয়ে দেখা দেয় যখন গতকাল তাকে দেখা যায়নি অনুশীলন করতে। সিরিজ শুরুর আগের দিন আবার খানিকটা অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তামিমকে ঘিরে। শেষ পর্যন্ত ধোঁয়াশা দূর করেন তামিম নিজেই। তিনি জানিয়েছেন তিনি খেলবেন। পাশাপাশি এটিও জানিয়ে রাখলেন, এখনও পুরোপুরি ফিট নন তিনি। গত মাসে কোমরের পুরোনো ইনজুরির কারনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট থেকে একদম শেষ মুহূর্তে ছিটকে যান তামিম। পরে ওয়ানডে সিরিজের দলে ফিরলেও অনুশীলনে তাকে নিয়মিতই অস্বস্তিতে ভুগতে দেখা যায়। দীর্ঘ দিন ধরে বয়ে চলা এই ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। তবে আগের চেয়ে ভালো অনুভব করায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে খেলবেন টাইগার দলপতি।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ মাঠে গড়াবে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। ম্যাচের আগের দিন গতকাল ঐচ্ছিক অনুশীলনে ব্যাটিং–ফিল্ডিং করেননি তামিম। অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান নিজের শারীরিক অবস্থা। আমি অবশ্যই প্রথম ম্যাচ খেলছি। শরীর আগের চেয়ে ভালো আছে। তবে এটা বলব না যে শতভাগ ঠিক আছি। প্রথম ম্যাচ খেলার পর আরও ভালো বুঝতে পারব কী অবস্থায় আছি। পুরোপুরি সুস্থ না হয়েও খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে বিশ্বকাপের বছরে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে কি না। তবে তেমন কিছু মনে হলে সিরিজের পরের দুই ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিনি বলেন আমার মনে হয়, আমারও দেখতে হবে যে, কতটা মানিয়ে নিতে পারছি বা পারছি না। তবে আমি এরকম কোনো কাজ করব না যেটা দলকে ভুগাবে। কারণ আমি সবসময় বলি যে কোনো ব্যক্তির চেয়ে দল আগে আসে। আমার এখন মনে হচ্ছে, আমি প্রথম জন্য প্রস্তুত। ম্যাচ চলাকালে যদি আমার মনে হয় যে, ঠিক প্রস্তুত নই বা এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তাহলে আমি ও মেডিক্যাল টিম মিলে সিদ্ধান্ত নেব। আপাতত আমি প্রথম ম্যাচের জন্য ফিট।