চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া সীমান্তের খরস্রোতা শঙ্খ নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া এক কন্যা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে নিখোঁজ হওয়া ঘটনাস্থলের প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে সাতকানিয়ার দ্বীপ চরতী সর্বির চরে শিশুটির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু আঁখি আকতার (৭) গাইবান্ধা জেলার আংগুর মিয়ার কন্যা। তবে তারা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরীর ঝাউতলা এলাকায় বসবাস করতেন। ১৮ দিন আগে আংগুর
মিয়া তার পরিবার নিয়ে সাতকানিয়ার কাটগড় এলাকার একটি কলোনিতে ভাড়া বাসায় চলেন আসেন। আঁখি নগরীর ঝাউতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানায় তার বড় ভাই মো. বাপ্পি।
জানা যায়, গত বুধবার বিকেল ৪টার দিকে শিশু আঁখিসহ এলাকার ৭/৮ জন শিশু গোসল করতে শঙ্খ নদীর দোহাজারী–কাটগড় পয়েন্টে নামে। কিছুক্ষণ পর আঁখি নদীর তলদেশে তলিয়ে যায়। ঘটনার পরপর স্থানীয়রা নদীতে নেমে অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। ঘটনার দিন ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল আসলেও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা চালানো সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করলেও ঘটনাস্থল ও আশেপাশে তার সন্ধান পায়নি। বিকেল ৩টার দিকে খবর আসে–নিখোঁজ আঁখির লাশ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ভাটি এলাকায় ভেসে উঠেছে। পরে আত্মীয়–স্বজন ও প্রতিবেশীরা শঙ্খ নদীর সাতকানিয়ার দ্বীপ চরতি সর্বির চর নামক স্থান থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেন।