চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া সীমান্তের খরস্রোতা শঙ্খনদীতে গোসল করতে নেমে ২য় শ্রেণী পড়ুয়া এক কন্যা শিশু নিখোঁজের ২৪ ঘন্টা পর উদ্ধার করা রয়েছে। তার নাম আঁখি আকতার (৭)। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে সাতকানিয়ার দ্বীপ চরতী সর্বির চর নামক স্থান থেকে ভাসমান অবস্থায় তাকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে শিশু আঁখিসহ এলাকার ৭/৮ জন শিশু গোসল করতে শঙ্খনদীর দোহাজারী-কাটগড় পয়েন্টে নামে। কিছুক্ষণ পর আঁখি নদীর তলদেশে তলিয়ে যায়। ঘটনার পরপর স্থানীয়রা নদীতে নেমে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পায়নি।
ঘটনার দিন ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল আসলেও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে পারেনি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও ডুবুরী দল তাকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করলেও ঘটনাস্থল ও আশপাশে তাকে পায়নি। বিকেল ৩টার দিকে খবর পায় নিখোঁজ শিশু আঁখির লাশ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ভাটি এলাকায় ভেসে উঠেছে।
পরে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশিরা শঙ্খনদীর সাতকানিয়ার দ্বীপ চরতি সর্বির চর নামক স্থান থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আঁখি গাইবান্ধা জেলার আংগুর মিয়ার শিশু কন্যা বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, গাইবান্ধা জেলার আংগুর মিয়া দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী ও ৪ ছেলে এবং একমাত্র কন্যা আঁখিকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর ঝাউতলা এলাকায় বসবাস করতো। তিনি বিগত ১৮ দিন আগে পরিবার পরিজন নিয়ে সাতকানিয়ার কাটগড় এলাকায় একটি কলোনীতে ভাড়া বাসায় চলে আসে। ঘটনার দিন তার অপর ২ ছেলে ও মেয়ে আখিসহ এলাকার ৭/৮ জন শিশু শঙ্খনদীর দোহাজারী-কাটগড় পয়েন্টে গোসল করতে নামে।
এক পর্যায়ে আখি নদীর তলদেশে তলিয়ে যায়। আখি চট্টগ্রাম নগরীর ঝাউতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী বলে জানায় তার বড় ভাই মোঃ বাপ্পি।