সাতকানিয়ায় শঙ্খনদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া শিশু সোহাদী হাসান সোহাগের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। নিখোঁজ হওয়ার ২১ ঘণ্টা পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে ২৫–৩০ ফুট গভীর কূপ থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। হতভাগ্য শিশু সোহাগ বাঁশখালীর দক্ষিণ চাম্বল সোনারখীল পাড়ার মনিরুল ইসলামের পুত্র। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সাতকানিয়ার কালিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব কাঠগড় নয়াপড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে।
শিশুটির বাবা মনিরুল ইসলাম জানান, আমার ছেলে সোহাগ তার বড় ভাই মেহেদী হাসান সবুজের সঙ্গে সোমবার বেলা ১১টার দিকে শঙ্খনদীতে গোসল করতে যায়। এক পর্যায়ে সোহাগ নদীতে তলিয়ে যায়। কিন্তু বিষয়টি সবুজ বুঝতে পারেনি। সোহাগ গোসল শেষে বাড়িতে ফিরে এসেছে মনে করে মেহেদী গোসল করার পর বাসায় চলে আসে। তখন সে জানতে পারে সোহাগ ঘরে ফিরেনি। তখন আমরা সবাই গিয়ে নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাইনি। পরে বিকেলের দিকে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে চট্টগ্রামে ডুবুরি দলকে খবর দেয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে উদ্ধার কাজ শুরু করে সকাল ৮টার দিকে শক্সখনদীর গভীর কূপ থেকে সোহাগের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ডুবুরি দল।
কালিয়াইশ ইউপি সদস্য আবদুল গফুর মুক্তা জানান, সোহাগ যখন গোসল করতে যায় তখন পাশে ড্রেজার মেশিন চলছিল। এর কারণে সৃষ্ট স্রোতে পড়ে সে তলিয়ে যেতে পারে। ড্রেজার মেশিনের কারণে সৃষ্ট এসব কূপে পড়ে গত বছরও একজনের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও ড্রেজার মেশিন বন্ধ করা যায়নি।
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা এসএম হুমায়ুন কার্ণায়েন জানান, ধারণা করা হচ্ছে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার কারণে নদীতে গভীর কূপের সৃষ্টি হয়েছে। শিশু সোহাগের লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।