শহরে মুলার কেজি ৩০ টাকা। ভ্যান গাড়িতেও বিক্রি হচ্ছে এই দরে। সুপারশপ এবং বাজারগুলোতে এই দর ৩৫–৪০ টাকা। অথচ শঙ্খচরে মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩ টাকা কেজি দরে। একইভাবে ফুলকপিও শঙ্খচরে কেজি ৫ টাকা বিক্রি হলেও নগরে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে। উৎপাদন খরচ না ওঠায় অনেক কৃষক মুলা ফেলে দিচ্ছেন। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় গোঁজামিলের কারণে চাষিদের সুফল মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে চলে যাচ্ছে।
শীতের সবজির এই ভর মৌসুমে চট্টগ্রামের গ্রামাঞ্চলে প্রচুর চাষাবাদ হয়েছে। শিম, মুলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ নানা ধরনের সবজি উৎপাদিত হয়েছে। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ের চাষিরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্ট করে উৎপাদন করা ফলনের দাম পাচ্ছেন না। উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে ক্ষেতের ফসল। তাও ক্রেতা জুটছে না অনেক এলাকায়। এতে কৃষকদের বিনিয়োগকৃত লাখ লাখ টাকা পানিতে যাচ্ছে। অথচ মধ্যস্বত্বভোগীরা এই ফলনের সুফল পুরোটাই পকেটে ঢোকাচ্ছে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। ক্রেতাদেরও বাড়তি দরে সবজি কিনতে হচ্ছে।
দোহাজারী এলাকায় শঙ্খচরে মুলা প্রতিকেজি ৩ টাকা এবং ফুলকপি ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তা শহরে এসে বিক্রি হচ্ছে গড়ে ৩০ টাকায়। প্রতিকেজি সবজিতে গড়ে ২৫ টাকা ব্যবসা করছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় শীতে উৎপাদিত সবজির বাজার পরিচালিত হলে কৃষক এবং ক্রেতা উভয়েই লাভবান হতো বলে মন্তব্য করেছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, কৃষি ও কৃষককে বাঁচাতে হলে বাজার ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়ার বিকল্প নেই। শীতে উৎপাদিত সবজি দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণ করা গেলেও কৃষকেরা সুফল পেতেন বলে জানান তারা।