শখের বসে ২০২১ সালে সিরাজগঞ্জ থেকে দুইটি উন্নতমানের তোতাপুরী ছাগল ক্রয় করে আনেন পটিয়ার যুবক মোহাম্মদ হোসাইন। এখন সে হয়ে উঠলেন পেশাদার এক খামারি। পটিয়া পৌর সদরের ৪নং ওয়ার্ডস্থ সর্দার পাড়ায় নিজ বসতঘরের আঙ্গিনায় প্রায় ৩৫টি ছাগল নিয়ে গড়ে তুলেছেন খামার। যে ছাগলগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা।
জানা যায়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুইটি ছাগল ক্রয় করার তিনমাস পর একটি ছাগল বাচ্চা দেয়। আশাপাশে উন্নত জাতের তোতাপুরী পাঁঠা না থাকায়, বীজ দেয়ার জন্য দিনাজপুর থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় একটি তোতাপুরী পাঁঠা ক্রয় করেন। এর পর কয়েক ধাপে সিরাজগঞ্জ ও নাটোর থেকে আরো কয়েকটি একই জাতের ছাগল সংগ্রহ করেন। এভাবে আস্তে আস্তে ছাগলগুলো বাচ্চা দিতে থাকে। শখের তোতাপুরী ছাগল লালন পালনের এক পর্যায়ে ৮/১০টি ছাগল হয়ে উঠে। তখন মাথায় আসে কিভাবে উন্নতমানের তোতাপুরী ছাগলের খামার করা যায়। এভাবে পর্যায়ক্রমে ৩০–৩৫টি ছাগলের খামারে পরিণত হয়। আস্তে আস্তে ছাগলের বাছুরগুলো বাইরে বিক্রি করতে শুরু করেন। দেখতে থাকেন লাভের মুখ। গত দুই বছরে তিনমাস বয়সী ছাগলের বাছুর বিক্রি করেই পান সাড়ে ৩ লাখ টাকা। এ থেকে উৎসাহ বাড়তে থাকে তার। এখন তার ছাগলের খামারের নাম রাখা হয়েছে ‘শাহ্ জব্বারিয়া আদর্শ খামার’। ছাগল খামারের সফলতার জন্য হোসাইন স্বীকৃতি হিসেবে উপজেলা প্রাণী সম্পদ মেলায় উপজেলা পর্যায়ে ২০২৩ সালে ‘শ্রেষ্ঠ ছাগল খামারির পুরস্কার’ লাভ করেন।
বর্তমানে তার খামার লাভের পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিমাসে ২/৩টি ছাগলের বাছুর বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে তার এ খামার দেখে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অনেক বেকার যুবক বর্তমানে খামার করতে আগ্রহী হয়ে উঠছে বলে জানান ছাগলের খামারি হোসাইন।