শখের ভুট্টা চাষে দ্বিগুণ লাভ

পটিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ১১ মে, ২০২২ at ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

অনেকটা শখের বসে ও উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৪৪ শতক অনাবাদী জমিতে ভুট্টার চাষ করেন যুবক এস এম বশির উল্লাহ। শখের বশে করা সেই ভুট্টা চাষে উঠে আসে প্রায় দ্বিগুণ লাভ! প্রথমবারের মত ভুট্টার চাষ করে ৩ টনের অধিক ফলন ফলিয়ে চমক দেখান পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের দক্ষিণ মালিয়ারা গ্রামের এ যুবক। বর্তমানে ৭০ শতক জমিতে ভুট্টা ও ৭৪ শতক জায়গায় গো-খাদ্য হিসেবে সাইলেজ চাষ করা হয়েছে। ১৪৪ শতক জমিতে ভুট্টার চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ৭০ হাজার টাকা। তার বিপরীতে উৎপাদিত ভুট্টা বিক্রির আশা ব্যক্ত করেন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতিটি গাছে ৭/৮টি পর্যন্ত ভুট্টার মোচা ধরেছে। নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পটিয়ার আওতায় এ চাষ করা হয়।

পেশায় ব্যবসায়ী বশির উল্লাহ বসবাস করেন নগরীতে। গ্রামে অনাবাদী হিসেবে পড়ে রয়েছে তার অনেক জমি। এসব জমির কিছু অংশে এক ফসলি চাষ, কিছু জমি অনাবাদী হিসেবে পড়ে থাকে বছরের পর বছর। আবার কিছু জমি বর্গা চাষির কাছে খাজনা হিসেবে লাগিয়ত করা হয়। এখন নতুন করে প্রথমবারের মত ভুট্টা চাষে সফলতার মুখ দেখে চাষাবাদের ধারণাই পাল্টে গেছে বশির উল্লাহর। তিনি জানান, পটিয়ার কৃষি অফিসের সহায়তায় উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়ে এখন নিয়মিত গ্রামে এসে বিভিন্ন চাষাবাদে মনোনিবেশ করার ইচ্ছা জাগছে। আমার নিজস্ব অর্থায়নে ভুট্টা ও সাইলেজ চাষে সফলতা পেয়েছি। আগামীতে এসব পতিত ও অনাবাদী জমিতে ভুট্টার পাশাপাশি সয়াবিন, সূর্যমুখী, তিল, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করার কথাও জানান তিনি।

বশির উল্লাহর অনুপস্থিতিতে বেশিরভাগ সময় এ ভুট্টা চাষ সার্বিক দেখভাল করেছেন ভাতিজা আজিজুর রহমান আজিজ খান। তিনি জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এস এম মহিউদ্দিনের সহযোগিতা ও পরামর্শে এ ভুট্টার চাষ শুরু করা হয়। কৃষি অফিস থেকে বীজ, কীটনাশক ও সার দিয়ে সহযোগিতা করা হয় আমাদের।

এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কল্পনা রহমান জানান, এ অঞ্চলে ভুট্টাসহ সরকারের নির্দেশিত বিভিন্ন নতুন নতুন ফসল চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের ঘোষণা দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদী জায়গা চাষাবাদের আওতায় আনতে হবে। এ ঘোষণাকে কাজে লাগিয়ে ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপির সহযোগিতায় আমরা জমির মালিক ও কৃষকদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করছি। এতে সফলতা আসতে শুরু করেছে। এখন অনাবাদী জমিতে চাষাবাদে এগিয়ে আসছে বিভিন্ন কৃষক ও জমির মালিক। এভাবে আবাদী জমির পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাউজানের রেহেনা শফিকের রত্নগর্ভা মা অ্যাওয়ার্ড লাভ
পরবর্তী নিবন্ধসম্মাননায় বই কিংবা গাছ কেন নয়, প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর