সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় মহাসড়কের পাশে গতকাল বিকালে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করছিলেন শামসুল আলম শামসু (৫৫)। হঠাৎ বিকট শব্দে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের পর প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে একটি লোহার টুকরো ছিটকে এসে পড়ে তার মাথায়। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে
ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি জীবিত আছেন মনে করে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। নিহত শামসুল আলম কদমরসুল জাহানাবাদ এলাকার মরহুম ইসমাঈল হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন কদমরসুলে বিভিন্ন স্থানে পাথর ভাঙার কাজ করতেন। তার স্ত্রী, ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শামসুল আলম দরিদ্র, খেটে খাওয়া মানুষ। তিনি পাথর ভাঙার কাজ করে পরিবার–পরিজন নিয়ে দিনযাপন করছিলেন। কয়েক বছর আগে অল্প বয়সে তার এক ছেলের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় মামুন জানান, বিকালে তিনি মহাসড়কের পাশে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এমন সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে দোকানের ভেতরে থাকা লোকজন ছোটাছুটি শুরু করেন। বিস্ফোরণের সময় মহাসড়কের পাশে নিহত ওই শ্রমিক পাথর ভাঙার কাজ করছিলেন। এ সময় উড়ে আসা লোহার টুকরো তার মাথায় পড়ে। এতে মাথা থেঁতলে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
মামুন জানান, বিস্ফোরণের শব্দে দুই–তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কম্পনের সৃষ্টি হয়। এ সময় কারখানাটির আশেপাশের এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উড়ে আসা লোহার টুকরোর আঘাতে অনেকে আহত হন।