লোহাগাড়ায় রাতের আঁধারে টিলা কেটে মাটি পাচার

লোহাগাড়া প্রতিনিধি | বুধবার , ২৯ অক্টোবর, ২০২৫ at ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়ায় রাতের আঁধারে টিলা কেটে পাচার করা হচ্ছে মাটি। উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কেইচ্যার ঝিরি হাজারি পাহাড় এলাকায় এই টিলার মাটি কাটছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন যাবত রাতের আঁধারে এস্কেভেটর দিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের দখলীয় টিলার মাটি কাটছেন স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। মাটিখেকো চক্রটি ইতোমধ্যে ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি টিলা কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। এভাবে টিলা কাটার কারণে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে। টিলার কাটার কাজে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, টিলার কাটার কাজ রাতে সরব থাকলেও দিনে থাকে নীরব। টিলায় এখনো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এস্কেভেটরের দাঁত। টিলা কাটার স্থানের পাশেই রয়েছে বসতঘর। এভাবে টিলা কাটায় বর্ষা মৌসুমে বসতঘর ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া টিলায় রোপিত বিভিন্ন প্রজাতির গাছও কাটা হয়েছে। এভাবে টিলা কাটায় নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য।

স্থানীয় পরিবেশবাদীরা জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত টিলাপাহাড়ের মাটি কেটে পাচার করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব কাজে জড়িত। পরিবেশ ধ্বংসকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ইকবাল জানান, টিলা কাটার জায়গাটি খাস খতিয়ানভুক্ত। তবে রাতের আঁধারে কে বা কারা টিলার মাটি কাটছেন এই ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।

লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মং এছেন জানান, টিলা কাটা দণ্ডনীয় অপরাধ। তদন্তপূর্বক টিলা কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুবদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ গুলি, ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধঅস্ত্র মামলায় সম্রাটের যাবজ্জীবন