স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দিকনির্দেশনায় লোহাগাড়া উপজেলার ২০ শয্যা বিশিষ্ট বন্ধ ট্রমা সেন্টার পুনরায় সেবা উপযোগী করে চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি প্রতিনিধি দল ট্রমা সেন্টার পরিদর্শনে আসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ, হাসপাতালের পরিচালক বখতিয়ার আলম, লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসাইন, ডা. জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোহাম্মদ শের আলী প্রমুখ।
জানা যায়, চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন মানুষ। সময়মতো চিকিৎসা পেতে চট্টগ্রাম–কক্সবাজারের মাঝামাঝি লোহাগাড়ায় ২০০৭ সালের জুন মাসে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এ ট্রমা সেন্টার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেন্টারটি উদ্বোধন করেন। তিনতলা বিশিষ্ট এ হাসপাতালে রয়েছে ২০টি শয্যা। এর মধ্যে বিশেষ কেবিন (ভিআইপি) দুটি ও সাধারণ শয্যা ১৮টি। কিন্তু যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও জনবল না থাকায় সেন্টারটি চালু করা যায়নি। বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসাইন যোগদানের পরপরই ব্যক্তিগত উদ্যোগ, আন্তরিকতা ও তৎপরতার মাধ্যমে ট্রমা সেন্টারটি চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ডা. ইকবাল হোসাইন জানান, ট্রমা সেন্টার পুনরায় সেবা উপযোগী করতে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় জনবল, যন্ত্রপাতি ও লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করবেন। তারই অংশ হিসেবে একটি প্রতিনিধি দল ট্রমা সেন্টারটি পরিদর্শন করেন এবং ভবিষ্যত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি বুঝে নেন। এই যৌথ কার্যক্রমটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি যৌথ সমঝোতা স্মারকের আলোকে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের দুর্ঘটনাজনিত জরুরি রোগীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে বলে আশা করছি।