চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ২০ কেজি বাসি ও পচা মাংস জব্দ করা হয়েছে এবং সেগুলো কেরোসিন দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
২৩ আগস্ট (শনিবার) বেলা ১২টার দিকে উপজেলা সদরে বটতলী স্টেশন এলাকায় মাংসের দোকানে অভিযান চালিয়ে উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ শের আলীর নেতৃত্বে এসব মাংস জব্দ করে ধ্বংস করে দেন।
এসময় লোহাগাড়া শহর পরিচালনা কমিটির আহবায়ক কাজি মাওলানা নুরুল আলম চৌধুরী ও সদস্য সচিব সরওয়ার আকতারসহ শহর পরিচালনা কমিটির অন্যন্যা সদস্যরা সাথে ছিলেন।
লোহাগাড়া উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোহাম্মদ শের আলী বলেন, বটতলী স্টেশনে বিভিন্ন দোকানে বাজার মনিটরিং করছিলাম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, বটতলী কাঁচা বাজারে সাদেকের মাংস দোকানে ফ্রিজের মাংস এনে বিক্রি করছিল। গত কালকের ফ্রিজের মাংসগুলো সকালে এনে ২০ কেজির মত বিক্রি করছিল। মাংসগুলো পঁচন, বাসি হয়ে যায়। যেগুলো খাবারের খুব অনুপযোগী ও মানসম্মত নয়।
বাসি মাংসগুলো জব্দ করি, বটতলী শহর পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দেরকে সাথে নিয়ে সবার উপস্থিতিতে কেরোসিন দিয়ে ২০ কেজির মত মাংস ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, সাদেক ফ্রিজে সংরক্ষিত মাংস বলে স্বীকারোক্তি দেন এবং ভবিষ্যতে এসব কাজ করবেননা বলে অঙ্গীকার করেন।
শের আলী আরও বলেন, বাসি বা পচা মাংস খেলে খাদ্যে বিষক্রিয়া হতে পারে, তাই এমন মাংস খাওয়া উচিত নয়। বাসি মাংসের প্রধান লক্ষণ হলো তেতো বা পচা গন্ধ, বিবর্ণ বা খসখসে ভাব। এসব মাংস ধ্বংস করে দেওয়া নিরাপদ। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।সবাইকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে বলেও জানান তিনি।
বটতলী শহর পরিচালনা কমিটির আহবায়ক কাজি মাওলানা নুরুল আলম চৌধুরী বলেন, পঁচা, বাসি মাংস বিক্রি করছিল বটতলী স্টেশনে মাংসের দোকানে। আমরা শহর পরিচালনা কমিটি ও সেনিটারি ইন্সপেক্টর শের আলীকে সাথে নিয়ে গরুর মাংস দোকানে যায়, বাসি, পঁচনশীল ও ফ্রিজে রক্ষিত মাংস বলে স্বীকার করে।
পরবর্তীতে সবার উপস্থিতিতে জব্দকৃত মাংসগুলো কেরোসিন দিয়ে ধ্বংস দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব কর্মকান্ড করবেন না বলে সেনিটারি ইন্সপেক্টরকে অঙ্গীকার দেন।