লোহাগাড়ায় দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

খাবারে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে অজ্ঞান

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৫ জুন, ২০২১ at ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়ার আমিরাবাদে পরিবারের সদস্যদের খাবারে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। গত রোববার রাতে ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ ঘোনা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই পরিবারের ১০ জন অজ্ঞান হয়েছে। তারা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন, উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ ঘোনা পাড়ার ইব্রাহিম সওদাগরের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৬০), পুত্র মো. ওসমান গনি (৪০), ওসমান গনির স্ত্রী আমেনা বেগম (৩০), কন্যা তাসরিন জান্নাত (৮), পুত্র তাসকিনুর রহমান (৬), বোন জান্নাতুল নাঈমা (২৮), তার পুত্র ইলমা জান্নাত (৫), একই এলাকার মজুমদার পাড়ার নারায়ন মজুমদারের স্ত্রী টকি বিশ্বাস (৩৮), কন্য পূর্ণ্যতা মজুমদার (১৪) ও পুত্র দিব্যি মজুমদার (১২)।
অজ্ঞান হওয়া ওসমান গণি জানান, প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার খেয়ে ঝিমুনি আসায় শুয়ে পড়ি। কিছুক্ষণ পর পরিবারের অন্যরা তার মতো ঝিমুনি দিয়ে পড়ে যেতে দেখেছি। এরপরে কি হয়েছে তিনি জানেন না। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নেয়ার পর জ্ঞান ফিরলে জানতে পারি বাড়িতে থাকা নগদ ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার কে বা কারা নিয়ে গেছে। রাতে দোকান বন্ধ করে টাকাগুলো বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন বলে জানান। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেছেন।
অপরদিকে, অজ্ঞান হওয়া টকি বিশ্বাসের স্বামী নারায়ন মজুমদার জানান, রাতে চট্টগ্রাম শহর থেকে বাড়ি আসেন। পরিবারের সবাই গভীর ঘুমে ছিল। রান্নাঘরে থাকা খাবার পছন্দ না হওয়ায় ডিম ভেজে রাতের খাবার খান। খাওয়ার কিছুক্ষণ পর ঝিমুনি আসায় শুয়ে পড়েন তিনি। এরপর রাত ১টার দিকে বসতঘরের দরজায় আঘাত করার শব্দ শুনে কে বলে চিৎকার করলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ভাত খাওয়ার পর ঝিমুনি আসলেও তিনি পুরোপুরি অজ্ঞান হয়ে যাননি। তাই দুর্বৃত্তরা বসতঘরে প্রবেশ করতে পারেনি।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়েছি। এ বাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ জানান, সোমবার সকালে পৃথকভাবে শিশুসহ ১০ জন অজ্ঞান হওয়া রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। কয়েকজনের জ্ঞান ফিরে আসলেও সুস্থ হয়ে উঠতে একটু সময় লাগবে। তবে তারা কেন অজ্ঞান হয়েছেন এখনো সঠিকভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউখিয়ায় ৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকার ইয়াবা উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধপুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু