লোহাগাড়ায় অবৈধ আরো ৩টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে আজ মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে চরম্বা এলাকায় এসব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়।
অভিযানে পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সহযোগিতা করে। এর আগে গত সোমবার পুরোদিন অভিযান চালিয়ে পদুয়া, পশ্চিম কলাউজান ও চুনতি এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৪টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছিল প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার গুঁড়িয়ে দেয়া ইটভাটাগুলো হলো চরম্বা ইউনিয়নের মাইজবিলায় আবদুল জাব্বারের মালিকানাধীন এসবিএন, জামাল উদ্দিনের এসএমবি ও গুরা মিয়ার মালিকানাধীন সিবিএম।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রমতে, গণমাধ্যমে প্রকাশতি প্রতিবেদন যুক্ত করে লোহাগাড়াসহ চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জনস্বার্থে গত ২৯ নভেম্বর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’র পক্ষে উচ্চ আদালতে এক রিট দায়ের করা হয়।
গত ১৪ ডিসেম্বর রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের বেঞ্চ রুলসহ চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সাত দিনের সময় দেন। উচ্চ আদালতের আদেশে একই সঙ্গে বৈধ ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার, পাহাড়ি ও কৃষি জমির মাটি কেটে ব্যবহারকারীদের তালিকাও দাখিল করতে বলা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন জানান, লোহাগাড়ার সবকটি ইটভাটা অবৈধ। কোনটির লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্রসহ কোন ধরনের কাগজপত্র নাই। নিয়ম নীতির প্রতি তোয়াক্কা না করে আবাদি জমিতে, পাহাড়ি ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসার পাশে গড়ে উঠেছে এসব ইটভাটা। ইট তৈরির কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে আবাদি জমির মাটি। কাটা হচ্ছে পাহাড়ি টিলা। ইট পোড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বনের কাঠ। দুই দিনে আমরা অবৈধ ৭টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছি। আগামীতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালানো হবে।
অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালাক মোহাম্মদ জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিফ চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফজারুল ইসলাম ও পরিদর্শক নুর হাসান সজীব।