লোহাগাড়ায় নির্মাণ কাজ শেষ করার একদিন পরই ভেঙে গেছে নালার একপাশের দেয়াল। গতকাল শনিবার সকালে সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী সড়কে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত এই নালার দেয়াল ভেঙে পড়েছে। এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, চৌধুরী সড়ক উপজেলা বটতলী স্টেশনের অভ্যন্তরীণ সড়ক। এই সড়কে ১৫০ ফুট নালা নির্মাণের জন্য প্রায় ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ। স্থানীয় ইউপি সদস্যকে উক্ত কাজ পরিচালনা করার দায়িত্ব দেয়া হয়। গত ১ আগস্ট নালা নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। ১০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি। গত ১৫ আগস্ট উক্ত নালা নির্মাণের কাজ শেষ হয়। স্থানীয়রা শুরু থেকে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করে আসলে সেটি কেউ আমলে নেয়নি। ফলে কাজ শেষ করার একদিন পরই নির্মাণাধীন নালার এক পাশের প্রায় অর্ধেক অংশের দেয়াল ভেঙে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইলিয়াছ জানান, নালা নির্মাণের কাজের শুরু থেকেই স্থানীয় ইউপি সদস্যকে একাধিকবার নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু তিনি বিষয়টি কর্ণপাত করেননি। ফলে নির্মাণ কাজ শেষ করার একদিন পরই নালার এক পাশের দেয়াল ভেঙে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে দ্রুত ভেঙে যাওয়া নালা পুননির্মাণ করার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় চলমান বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হবে। সড়কের উপর পানি জমে বাড়বে জনদুর্ভোগ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর আহমদ জানান, নালা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরপরই টানা বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বৃষ্টির পানির সাথে সিমেন্ট ধুয়ে চলে গেছে। এতে নালার দেয়ালে মাটির চাপ পড়ায় ভেঙে গেছে। নালা নির্মাণের মিস্ত্রিকে খবর দেয়া হয়েছে। এসে ভেঙে যাওয়া অংশ সংস্কার করে দিতে বলা হয়েছে।
লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুচ্ছাফা চৌধুরী জানান, নালার দেয়াল ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। উক্ত কাজ তদারকির দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য। ধারণা করা হচ্ছে, নির্মাণ কাজ ঠিকমতো তদারকি না করা ও বৃষ্টির মধ্যে কাজ করায় নালার দেয়াল ধসে পড়েছে। ভেঙে যাওয়া নালার অংশ দ্রুত সংস্কার করার জন্য ইউপি সদস্যকে বলা হয়েছে। লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান জানান, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নালা নির্মাণের কাজ করার কারণে দেয়াল ভেঙে পড়লে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।