লোহাগাড়ায় সুখছড়ি খালে ভাঙন

পাড়ের সাথে হারিয়ে যাচ্ছে চলাচলের পথ, আতংকে গ্রামবাসী

মোহাম্মদ মারুফ, লোহাগাড়া | শনিবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ at ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়ায় সুখছড়ি খালের ভাঙনে পাড়ের সাথে হারিয়ে যাচ্ছে চলাচলের পথ। সদর ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের সুখছড়িকুল সড়কে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া বর্ষার আগে ভাঙন এলাকা সংস্কার করা না হলে লোকালয়ে ঢুকে যাবে খালের পানি। এতে আতংকের মধ্যে রয়েছে গ্রামবাসী। খালের করাল ভাঙনে শুধু বিলীন হয়নি চলাচলের পথপ্রতিদিনি এক ইঞ্চি করে ধসে যাচ্ছে মানুষের স্বপ্ন, নিরাপত্তা আর স্থিতি।

জানা যায়, প্রতি বর্ষায় পানির স্রোতে সুখছড়ি খালের একই স্থানে একটু একটু করে ভাঙন দেখা দেয়। একাধিক এলাকাবাসীর উদ্যোগে সংস্কারও করা হযেছে। কিন্তু গতো বর্ষায় ভারি বর্ষণে তীব্র পানির স্রোতে ওই স্থানে সড়ক পুরোটাই বিলীন হয়ে গেছে। সুখছড়ি খাল পাড়ের সড়কটি ছিল এলাকার প্রাণ। কৃষিপণ্য পরিবহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া, রোগী নিয়ে হাসপাতালে ছুটে চলা সবাই চলতো এই সড়ক দিয়ে। আজ সেই সড়ক খালের গর্ভে বিলীন। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, সুখছড়ি খালের ভাঙন এলাকা দেখেই বুঝা যায় বর্ষা শুরু হলে বিপদ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। বর্ষায় ভাঙন দিয়ে পানি ঢুকলে আশপাশের ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বসতঘর ঝুঁকিতে পড়বে। মাটি দেবে গেছে প্রায় ১৫২০ ফুট। শিশু শিক্ষার্থীরা পাশ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। জনপ্রতিনিধিরা এলাকা পরিদর্শন করলেও কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্থানীয়রা বলছেন, বর্ষা এলেই আমাদের একটু খবর নেন, আর পরে ভুলে যান। খালের ভাঙন এলাকায় টেকসই বাঁধ নির্মাণ দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সুখছড়ি আদমের পুকুর পাড় নূরানী মাদ্‌াসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো. হাছান জানান, সুখছড়ি খালের ভাঙন এলাকা দিয়ে প্রতিদিন কোমলমতি শত শত শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। বর্ষার আগে ভাঙন এলাকা সংস্কার করা না হলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

লোহাগাড়া সুখছড়িকুল সমাজ পরিচালনা কমিটির সর্দার মো. ইউনুচ জানান, বিগত দিনে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ভাঙন এলাকা সংস্কার করেছি। কিন্তু বর্ষায় পানির স্রোতে তা ভেস্তে গেছে। গতো বর্ষায় ভারি বর্ষণে তীব্র পানির স্রোতে কামাল কোম্পানির বাড়ি সংলগ্ন খাল পাড় এলাকায় প্রায় ৩শ ফুট দীর্ঘ সড়ক একেবারে বিলীন হয়ে গেছে। যার ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আসন্ন বর্ষায় খালের ভাঙন এলাকা দিয়ে পানি লোকালয়ে ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আশংকা রয়েছে।

চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফরহাদ হোসেন জানান, সুখছড়ি খালের ভাঙন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান জানান, সুখছড়ি খালের ভাঙনে সড়কের কিছু অংশ বিলীন হওয়ার বিষয়টি অবগত হয়েছি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুরগির খামারে সফল কাপ্তাইয়ের কালিময় তনচংগ্যা
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভা