লোহাগাড়ায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের একাধিক জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে আর যাতে নতুন কোন স্থাপনা গড়ে উঠতে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর উপজেলার চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের উভয় পাশে একাধিক স্থানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করছে প্রভাবশালী মহল। সওজের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। এতে বেদখল হয়ে যাচ্ছে সরকারি জমি। বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী–কোন সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোন স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু তারা আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলছে। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে উপজেলার আমিরাবাদ রাজঘাটা ব্রিজের উভয় পাশে, পুরাতন বিওসি, সাউন্ড হেলথ হাসপাতালের নতুন ভবনের বাউন্ডারি ওয়াল ও তার উভয় পাশে, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের উত্তর পাশে, চুনতি বাজারে শাহ জব্বারিয়া সড়কের মুখে ও লোহাগাড়া ফায়ার স্টেশনে সামনে কয়েক মাসের মধ্যে সওজের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। কেউ টিনের আবার কেউ পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে। ইতোমধ্যে অনেক স্থাপনার কাজ শেষ হয়েছে। আবার কিছু স্থাপনার কাজ চলমান রয়েছে।
‘নিরাপদ সড়ক চাই’ লোহাগাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি মোজাহিদ হোসাইন সাগর জানান, চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক এমনিতেই সরু ও অত্যাধিক বাঁক থাকায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। তার উপর মহাসড়কের উভয় পাশে একাধিক স্থানে সওজের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা কোন ভাবেই কাম্য নই। প্রশাসনের উচিত অভিযান চালিয়ে মহাসড়ক উভয় পাশে সওজের জায়গা দখলমুক্ত করে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা। এছাড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে নতুন নতুন স্থাপনা নির্মাণের ফলে সড়ক সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ায় যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ–সহকারী প্রকৌশলী সুবাস চন্দ্রশীল জানান, সরকারি জায়গা দখল করে যেকোন স্থাপনা নির্মাণ করা অবৈধ। আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে সওজের জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।