লোহাগাড়ার পদুয়ায় ককটেল ও পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণসহ মোটরসাইকেলের গ্লাস ভাঙচুরের ঘটনায় উপজেলা যুবদলের সভাপতি সাব্বির আহমদসহ বিএনপি–জামাতের ১৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রোববার রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজবিলা দক্ষিণ পাড়ার আবদুর রহিমের পুত্র ও চরম্বা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মো. খানে আলম (৩৭) বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৬০–৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পূর্ব ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার রাত ৮টার দিকে পদুয়া ইউনিয়নের সুফি ফতেহ আলী ওআইসি মহিলা মাদ্রাসার সাইবোর্ডের আগে টংকাবতী সড়কের উপর এজাহারভূক্ত আসামিরাসহ জামায়াত–শিবির, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৬০–৭০ জন নেতাকর্মী লাঠি–সোটা, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করেন। এ সময় তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা প্রত্যাহার, জামায়াত ইসলামীর আটককৃত কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ আলেম–ওলামাদের অবিলম্বে মুক্তি, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সরকার বিরোধী স্লোগান দেয়। এ সময় বাদী ঘটনাস্থল দিয়ে বাড়ি যাবার পথে গতিরোধ করে মোটরসাইকেলের গ্লাস ভেঙে দেয় আন্দোলনকারীরা। এছাড়া রাস্তায় কয়েকটি ককটেল ও পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে ব্যাপক আতংক এবং টায়ার জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২টি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, বিস্ফোরিত পেট্রোল বোমার কাঁচের বোতলের ভাঙা কিছু টুকরা, ২টি অবিস্ফোরিত ককটেল, ৮টি বিভিন্ন সাইজের বাঁশের লাঠি, ইটের ভাঙা টুকরা, পোড়া টায়ারের অংশ, মোটরসাইকেলের লুকিং গ্লাসের ২ টুকরা ভাঙা অংশ জব্দ করেন। লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম জানান, ককটেল ও পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণসহ মোটরসাইকেলের গ্লাস ভাংচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।