লোহাগাড়ায় পুলিশ দেখে পালানোর চেষ্টাকালে ধাওয়া করে অস্ত্র–কার্তুজসহ ২ গরু চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় জব্দ করা হয়েছে চোরাই গরু পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ১টি পিকআপ ও ৫টি চোরাই গরু। গতকাল মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে চন্দনাইশের কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের বাদামতল বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো কর্ণফুলী থানার জালিয়াঘাটা ১ নাম্বার ওয়ার্ডের দক্ষিণ বন্দর বোচা তালুকদার বাড়ির মৃত মহব্বত আলীর পুত্র আব্দুস সবুর (৪০) ও ফটিকছড়ির নানুপুর ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের লম্বাটিলা এলাকা রফিকের ছেলে মহি উদ্দিন (৩৭)।
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম–কঙবাজার মহাসড়কে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছিলেন একদল পুলিশ। ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে খবর পান একদল চোর গরু চুরি করে পিকআপ যোগে চকরিয়া থেকে চট্টগ্রামের দিকে রওয়ানা করেছে। ভোররাত ৪টার দিকে একটি পিকআপ গাড়ি চেকপোস্ট এলাকায় পৌঁছলে থামানোর সংকতে দেয়া হয়। চালক পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়ি না থামিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলে যেতে থাকে। তখন পুলিশও পেছনে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে পিকআপের পেছনে থাকা চোরেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পরে দোহাজারী হাইওয়ে থানা পুলিশের সহায়তায় রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে চোরেরা ঘটনাস্থলে গাড়ি রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় চোরেরা পুনরায় গুলি ছুড়ে পালিয়ে যাবার সময় স্থানীয়দের সহায়তায় আব্দুস সবুর ও মহি উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে ১টি দেশীয় তৈরি এলজি, ৪ রাউন্ড কার্তুজসহ গরু চুরির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ গাড়ি ও চুরি করা ৫টি বিভিন্ন প্রজাতির গরু জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, পালিয়ে যাওয়া চোরদের মধ্যে রয়েছে সাইফুল প্রকাশ শওকত (২০) ও রাকিব (২৫)। তারা গরুগুলো বাঁশখালীর পুঁইছড়ি এলাকা থেকে চুরি করে চট্টগ্রাম শহরের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। তারা চট্টগ্রাম জেলাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় রাতে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে চুরি ও ডাকাতি করার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার দুই গরু চোরকে উত্তেজিত জনগণ মারধর করায় আহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মহি উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ পাহারায় সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল আলম খান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ থানায় পৃথক ২টি মামলা রুজু করা হয়েছে। একইদিন তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।