লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়ি বহরের একটি প্রাইভেট কার। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের হাজি রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার বৈলর ইউনিয়নের হামেদ আলীর পুত্র ট্রাক চালক মুজিবুর রহমান (৫৫) ও তার ছেলে চালক সহকারী মোহাম্মদ রিফাত মিয়া (১৯)কে আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুনতি ইউনিয়নের ফরেঙ্গা এলাকায় অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে শহরে ফিরছিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। ওই গাড়িবহরের একটি প্রাইভেট কার দুর্ঘটনার শিকার হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সাবেক সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ভিডিও বার্তায় বলেন, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমরা সবাই গাড়ি পরিবর্তন করেন। সামনে একটি প্রাইভেটকার ছিল, যেটা হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস ভাইদের গাড়ি থেকে সামান্য দূরত্বে ছিল। সেই গাড়িটাকে একটি ট্রাক চাপা দেয়। এছাড়াও একই ট্রাক বহরে থাকা মোটরসাইকেলও চাপা দেয়। গাড়ির মালিক আওয়ামী লীগের দোসর। আমাদের হত্যা করতে নানাদিকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেটা এই ষড়যন্ত্রের অংশ।
ওই বহরে মোটরসাইকেলে থাকা মো. সামি জানান, বহরের প্রথম গাড়িতে আসিফ, মাহাতির, সবুজ ও নেওয়াজ ছিলেন। ওই প্রাইভেটকারে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিসরা ছিলেন। মাঝ পথে তারা গাড়ি পরিবর্তন করেন। প্রাইভেটকারটি মহাসড়কে উঠার সময় চট্টগ্রামমুখি একটি ট্রাক বিপরীত সাইডে গিয়ে চাপা দেয়। এতে গাড়ির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পেছনের গাড়ি সামনে গিয়ে ঘটনাস্থলের অদূরে একটি ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে ট্রাকটির চালক ও হেলপারকে আটক করে লোহাগাড়া থানা হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। লোহাগাড়া থানার এসআই কামাল উদ্দিন জানান, ঘটনার পর ট্রাকসহ চালক ও সহকারীকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।