লোহাগাড়ার চুনতিতে ৩ বসতঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পানত্রিশা মহাজন পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন ওই এলাকার আমিনুল হক, মো. রুবেল ও ইউপি সদস্য হোসনে আরা বেগম। ডাকাতের প্রহারে আহত হয়েছেন ৩ জন। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছে এক ডাকাত।
আহতরা হলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসনে আরা বেগমের স্বামী জামাল উদ্দিন, ছেলে জাহেদুল ইসলাম ও মেয়ে তাসকিয়া আক্তার। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ইউপি সদস্য হোসনে আরা বেগম জানান, প্রায় ২০ জনের একদল ডাকাত বসতঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তার ছেলে জাহেদুল ইসলামকে মারধর করে হাত–পা বেঁধে ফেলে রাখে। পরে তার স্বামী ও মেয়েকে মারধর করে। এরপর পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, নগদ ২৫ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত মো. রুবেল জানান, তিনি সবজি ব্যবসায়ী। ঘটনার রাতে ব্যবসায়িক কাজ শেষে বসতঘরে ফিরেন। ঘরে প্রবেশের ৫ মিনিটের মধ্যে একদল ডাকাত তার বসতঘরে ঢুকে পড়ে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার কাছে থাকা ব্যবসার নগদ ৫৬ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত আমিনুল হক জানান, একদল ডাকাত তার বসতঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এর আগে ডাকাত আসার বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি মাটির ঘরের দ্বিতীয় তলায় উঠে পড়েন। সেখান থেকে ডাকাতকে লক্ষ্য করে পর পর তিন রাউন্ড গুলি ছুঁড়েন। এতে এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। ততক্ষণে ডাকাতরা তার বসতঘর থেকে নগদ ২৭ হাজার টাকা, এক জোড়া স্বর্ণের কানফুল ও ২টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে নিয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গুলিবিদ্ধ ডাকাতের রক্তের দাগ অনুসরণ করে স্থানীয়রা তাদেরকে ধরতে এগিয়ে যায়। কিন্তু তারা দ্রুত গা ঢাকা দেয়ায় কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি। লোহাগাড়া থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।