লোহাগাড়ায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অবৈধ ৩টি ইটভাটা। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
গুঁড়িয়ে দেওয়া ইটভাটাগুলো হল, চুনতি ইউনিয়নের বনপুকুর এলাকায় মো. ইয়াছিনের মালিকানাধীন চুনতি ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং (সিবিএম), আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় মো. শরীফ খানের মালিকানাধীন মেসার্স বার আউলিয়া ব্রিকস (বিএবি) ও চরম্বা ইউনিয়নে খালেদা বেগমের মালিকানাধীন মেসার্স আরব ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং (এবিএম)। এসব ইটভাটার পরবর্তী কার্যক্রম বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার। সাথে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মোজাহিদুর রহমান, রিসার্চ কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন, পরিদর্শক মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন ফয়সল ও কাজী ইফতেখার উদ্দিন। এছাড়া অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন ওয়ারেন্ট কর্মকর্তা নীলমনির নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সদস্যরা।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন ফয়সল জানান, সম্পূর্ণ অবৈধভাবে উচ্ছেদকৃত ইটভাটাগুলো কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এছাড়া ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে পাহাড় ও কৃষিজমি থেকে মাটি সংগ্রহ করে ইট তৈরি পূর্বক ভাটা পরিচালনার প্রস্তুতি নেওয়াসহ বর্ণিত আইনের কতিপয় ধারা লঙ্ঘন করেছে। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই অভিযান চালিয়ে অবৈধ এসব ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটায় অভিযান চলমান থাকবে।