লোহাগাড়ার চুনতিতে মো. ইসমাইল (৪৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছে একদল দুর্বৃত্ত। গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কস্থ চুনতি বাজার সন্নিকটে বাড়িঘাটা এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। অপহৃত ইসমাইল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আবদুর রহমান হাফেজ পাড়ার দুলা মিয়ার পুত্র। গতকাল বেলা ৩টার দিকে মুক্তিপণ দেওয়ার পর কক্সবাজারের লিংক রোড এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী ইসমাইলের ছেলে আবদুল আউয়াল জানান, তার বাবা চুনতি বাজারে একটি কুলিং কর্নার করেন। প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত কুলিং কর্নারটি খোলা থাকে। রোববার রাতে তার বাবা দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি বাড়িঘাটা এলাকায় পৌঁছলে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার বাবাকে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর দুর্বৃত্তরা মাইক্রোবাসটি চুনতি বাজার থেকে জাঙ্গালিয়া এলাকা পর্যন্ত একাধিকবার যাওয়া–আসা করে। এরমধ্যে দুর্বৃত্তরা তার বাবার কাছে যা ছিল সব নিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে চুনতি বাজারে এসে পাহারাদারকে জিম্মি করে কুলিং কর্ণারের চাবি নিয়ে তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। সেখানে ক্যাশবঙে থাকা নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও অন্য আরেকজনের আমানত রাখা কিছু টাকা নিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর দুর্বৃত্তরা তার পিতাকে মাইক্রোবাসযোগে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে কঙবাজারের রামুর গভীর পাহাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তার পিতার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। অন্যথায় অপহরণকারীরা অন্য আরেকটি গ্রুপকে তার পিতাকে বিক্রি করে দিবে বলে জানায়। অপহরণকারীদের জিম্মায় থেকে মোবাইল ফোনে তার পিতা বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর অপহরণকারীদের সাথে দর কষাকষিতে এক লাখ টাকায় তার পিতাকে মুক্তি দিতে রাজি হয়। পরে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অপহরণকারীরা মুক্তিপণের টাকা নিয়ে তার পিতাকে মুক্তি দেয়।
লোহাগাড়া থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহপূর্বক পর্যবেক্ষণ করা হয়। পরে ভিকটিমের পরিবার থেকে জানানো হয়েছে অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহৃত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা শুনে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।