চট্টগ্রাম থেকে মীরসরাই আসার পথে একটি লোকাল বাসে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বাসের শ্রমিকরাসহ একটি অপরাধচক্র এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটায়।
মীরসরাই থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই রাজিব জানান, গত বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা দুই দিন ধরে ঐ তরুণী অন্তত ১০ যুবক দ্বারা এই ধর্ষণের শিকার হয়। অবশেষে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মীরসরাই থানার শরণাপন্ন হলে মীরসরাই থানার ওসি তদন্ত কামাল উদ্দিন ও এসআই রাজিব ধর্ষণ সংশ্লিষ্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো -সীতাকুণ্ড উপজেলার আশরাফুল ইসলাম (২৩), শাহাদাত হোসেন (১৯), নিজামউদ্দিন রানা (২০), মো. বেলাল হোসেন (২৩), মো. ইসমাঈল (৩১) এবং মীরসরাই উপজেলার হাইতকান্দি ইউনিয়নের কুরুয়া গ্রামের মো. সাগর হোসেন (২২)।
থানায় দেয়ায় অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের আকরশাহ থানা এলাকায় বসবাস করা তরুণী গার্মেন্টস কর্মী (২১) এর সাথে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে চালক আশরাফুলের সাথে বুধবার রাতে সীতাকুণ্ড এক্সপ্রেস নামে লোকাল বাসে বড় দারোগারহাটের উদ্দেশে রওনা হয়। বাসটি সীতাকুণ্ড এসে আর যাবে না বলে সকল যাত্রী নামিয়ে উল্টো হাফিজ জুট মিল এলাকায় যায়। সেখানে বাসে প্রেমিক চালক আশরাফুল তার সহযোগী শাহাদাতসহ তাকে ধর্ষণ করে। এরপর রানা নামে আরেক সহযোগী তাকে বিপদ থেকে সাহায্য করবে বলে মীরসরাই উপজেলা সাহেরখালী এলাকায় নিয়ে গিয়ে মোবাইল নিয়ে ফেলে আটকে রেখে দুদিন ধরে একের পর এক ধর্ষণ করে। শেষে গতকাল শুক্রবার তরুণী পালিয়ে গিয়ে প্রথমে সীতাকুণ্ড ও পরে মীরসরাই থানার শরণাপন্ন হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে। তরুণীর দেয়া তথ্য মতে অন্তত ১০ যুবক তাকে দফায় দফায় ধর্ষণ করে।
তরুণীর গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলায়। চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় থেকে সে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরেই প্রথম ড্রাইভার আশরাফুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তার। এ ব্যাপারে মীরসরাই থানার ওসি মুজিবুর রহমান বলেন, এমন ঘটনা সত্যিই বেদনাদায়ক। মেয়েটি সকল ধর্ষণকারীর পরিচয় শনাক্ত করতে পারছে না। তবুও আমরা সকল ধর্ষণকারীকেই আটক করার চেষ্টা করছি। আটককৃতদের শনিবার (আজ) আদালতে প্রেরণ করা হবে।