গল্পটি ক্যাম্পাসের–সুরের। দিন যায় গানে গানে। সময়টা ২০১৯ সালের অক্টোবর। বাদ্যযন্ত্রহীন বন্ধুদের টেবিল থাপড়ানোর তালে খালি গলায় গেয়েছিলেন-‘এক চক্ষেতে হাছন কান্দে, আরেক চক্ষে লালন, গুরু তোমার বিরহে জ্বলে আমার বুকের আগুন।’ বাদ্যযন্ত্রহীন খালি গলা গাওয়া গানটি ভাইরাল হয়। ভাইরাল পরিবর্তন করে দেয় জীবনের মোড়। গান হৃদয়ের গভীরে লালন করতেন কিন্তু বড় কোনো স্বপ্ন তার ছিল না। স্বপ্ন না থাকলেও তার মেধা ছিল, কণ্ঠে ছিল জাদু। এই ভাইরাল স্মৃতি বহুদূরে যাওয়ার সাহস জোগায়। বলছিলাম লালনকন্যা শাহরিন সুলতানা মীমের কথা। বর্তমান সময়ে কিছু তরুণ হৃদয়ে ও কণ্ঠে ধারণ করছেন ফোকগান–ফোকগানের হাত ধরেই দূরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সেই থেকে গানের হৃদয়ে হৃদয় রেখে হাঁটছেন–দূরে, বহুদূরে যাওয়ার প্রত্যয়ে। ফোক গান করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ মীমের। সবকিছুর অন্তরালে থাকে যুদ্ধের গল্প। যুদ্ধ জীবনের ঘনিষ্ঠ ছায়া।
এই ছায়ায় প্রস্ফুটিত হয় কর্মফল। যে ফলের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে মানুষের হৃদয়ে থেকে হৃদয়ে। মীমেরও এমন গল্প আছে। গান নিয়ে বেড়ে ওঠার গল্প শুনতে চাইলে মীম শুরুর গল্প বলেন–আব্বুর কাছে ঘুমানোর সময় ছোটবেলা থেকেই গান শুনতাম। আম্মুও গুনগুন করে ছড়াগান শেখাতেন। স্কুলের বার্ষিকক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নাম দিতাম প্রতিবার। পুরস্কারও পেতাম দ্বিতীয় বা তৃতীয়। ক্লাস থ্রিতে যখন পাঁচমিশালি গানে কিরণ রায়ের ‘গাছের মূল কাটিয়া’ গানটি গাইলাম, অনেক প্রশংসাও পেলাম। কিন্তু প্রথম হতে পারলাম না।