লেখক তৈরির কারিগর

এস. কে. বসাক, এফসিএ. | বৃহস্পতিবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ

লেখা ও লেখনী একটি সৃষ্টিশীল কাজ। সেটা একট চিরকুট, চিঠি, সামাজিক মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ, ছড়া, কবিতা, প্রবন্ধ, আলোচনা, সমালোচনা যাই হোক না কেন। এক সময় সাহিত্য পত্রিকা পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক, বার্ষিকীতে লেখকরা আত্ম প্রতিভা প্রকাশের স্থান পেতেন। ছাপানো লেখায় লেখক বা পত্রিকা, প্রকাশনায় ধন্য হতেন। পরিচিত হতেন পাঠকের সাথে। অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে সামাজিক মাধ্যমে ও লেখকরা পরিচিতি পান দর্শক সংখ্যার নিরিখে। বর্তমানে পত্রিকার সাহিত্যের পাতা, বিশেষ ক্রোড়পত্র, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বা নিত্যদিনের উপসম্পদকীয়তে সকল শ্রেণীর লেখক তাদের লেখা ছাপানোর সুযোগ পান। ফলে তাদের লেখার অনুপ্রেরণা তাদেরকে সার্থক লেখক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন দৈনিক অনলাইন ও মুদ্রিত পত্রিকাগুলো। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ৬৬ বছরের পদচারণায় দৈনিক আজাদী ৭ দশকে অনেক কালজয়ী লেখা ছাপিয়েছেন। অনেককে লেখক বানিয়েছেন। সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় লেখকের সাথে বহু পাঠক, শ্রোতা ও দর্শক সৃষ্টি করেছেন এই দৈনিক পত্রিকা। সমাজ বিবর্তনের এই চলমান প্রক্রিয়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদী আজও কল্যাণকর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে জনগণের কন্ঠের রূপ পেয়েছে। সমাজের সকল অংশের নিত্য সংবাদ পরিবেশন করে দেশেবিদেশে পাঠক সর্বজনীনতা পেয়েছে। মুদ্রিত ও অনলাইন পাঠক সংখ্যা তারই প্রমাণ। সমাজের সমসাময়িক সমস্যা তার সমাধান শুধু রাষ্ট্রের কাছে নেই তার প্রতিকার ও পরামর্শ সমাজের অভিজ্ঞ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ থেকেও আমরা লেখনীর মাধ্যমে জানতে পারি। সেই মাধ্যম হচ্ছে দৈনিক আজাদীর মত সংবাদপত্র। স্বমহিমায় দৈনিক আজাদী কীর্তিতে বছরের পর বছর অনাগত কাল ধরে চলতে থাকুক প্রতিষ্ঠালগ্নে এই প্রত্যাশা কামনা করি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজাদী এগিয়ে যাক শতাব্দীর পথে, সত্যকে ধারণ করে
পরবর্তী নিবন্ধস্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতা : ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও সর্বজনীন ভ্রাতৃত্ববোধের দার্শনিক ভিত্তি