‘লেখক’ শব্দটি আমার কাছে অত্যন্ত সম্মানের ও অনেক মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত একটি নাম। একজন পাঠকের কাছে লেখকের সঠিক মূল্যায়ন তখনই সম্ভব হয়, যখন তিনি তাঁর লেখাটি পাঠকের কাছে সুন্দর ও সাবলীলভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হন। পাঠকের মনে ভালোবাসার আসনে স্থান করে নেয়াটাই একজন লেখকের জন্য সব থেকে বড় সম্পদ। এটাকে কখনো নষ্ট হতে দিতে নেই। মনে রাখতে হবে পাঠকের দ্বারাই লেখক সৃষ্টি। তেমনি পাঠকের জন্যই লেখক সৃষ্টি। লেখক হিসেবে তাঁর মর্যাদা লেখককেই ধরে রাখতে হয়। সে ব্যাপারে একজন লেখককে যথেষ্ট সচেতন হওয়া আবশ্যক বলে মনে করি। যে যত বিনয়ী হয় লেখক হিসেবে তিনি ততোধিক পাঠক সমাদৃত হন। আমি মনে করি একজন স্বনামধন্য লেখক হতে হলে তাঁকে বিনয়ী ও নম্র হতে হবে। পাঠকের মন জয় করতে হবে। সব শ্রেণীর পাঠককে মর্যাদা দিতে হবে। অহংকারী ও দাম্ভিকতার মনোভাব নিয়ে আর যাই হোক না কেনো সফল লেখক হওয়া যায় না।
একজন ভালো লেখক কখনোই পাঠককে ছোট করে দেখেন না। তাঁর সকল পাঠকের প্রতি তিনি সমান শ্রদ্ধাশীল হয়ে থাকেন। যাঁরা এর ব্যতিক্রম মনোভাব পোষণ করেন তাঁরা লেখক হিসেবে যোগ্য মর্যাদা পাবার দাবী রাখেন না। মনে রাখতে হবে পাঠককে ছোট করে তিনি লেখক হিসেবে খুব বেশী দিন টিকে থাকতে পারেন না। একমাত্র পাঠক সমাজই লেখকের পরিচিতি এনে দেয়। কোনো কোনো লেখক নিজেকেই সেরা মনে করে আত্মতৃপ্তি খুঁজে। এটা ঠিক নয়। এরা মনে করে তার লেখাটিই সেরা। পাঠকবৃন্দ তার লেখা লুফে নিবে। অন্য লেখকদের ছোট করে দেখার প্রবৃত্তি কখনোই শুভ হয় না। লেখক ও পাঠক একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠুক এটাই কাম্য হওয়া উচিত।