লেকের বাঁধ ভাঙা পানিতে মির্জাখীলে ক্ষতিগ্রস্তদের মানববন্ধন

| মঙ্গলবার , ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড অরিদার ঘোনার লেকের বাঁধ গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে কেটে দেয়ায় পানিতে সোনাকানিয়া ইউনিয়নের শত শত ঘর বাড়ি , গবাদি পশু, ফসলি জমি তলিয়ে যায়। সূত্রে জানা যায়, মির্জাখীল বাংলা বাজার, মঙ্গল চাঁদপাড়া, দ্বীপের কুল, সাইরতলী পাড়া, কুতুব পাড়া, আছাড়তলী, কালামিয়ার পাড়া এলাকার কাঁচা ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে, পানির চাপে ছোট হাতিয়ার সুইচ গেইট, সাইরতলীতে দরবার শরীফের পানির গোদা ভেঙ্গে গিয়ে গরু, ছাগল, হাঁস মুরগী পানিতে ভেসে যায়। ঘর বাড়ি, স্কুল, মাদ্রাসা ডুবে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুকুরের মাছ, ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়। সবকিছু হারিয়ে সাধারণ মানুষ খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। রাতে মানুষ আহাজারী করছে যাদের দ্বিতল বাড়ি আছে সেখানে রাত্রি যাপন করছে।

দক্ষিণ জেলা আ.লীগ নেতা নুরুল আবছার চৌধুরী পরিদর্শনে গিয়ে মির্জাখীল বাংলা বাজার মানববন্ধনে বলেন, কোন মাইকিং না করে বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকতা ও কুচক্রীমহলের যোগসাজসে বাঁধ কেটে দিয়েছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শামশুল আলম, সেলিম উদ্দিন চৌধুরী প্রমূখ। মানববন্ধনে ঘটনার সাথে জড়িতদের তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবি করে পর্যাপ্ত পরিমান সরকারি সাহায্য ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের গৃহ নির্মাণসহ পুনর্বাসনের দাবি জানান।এলাকা পরিদর্শনে যান ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আঞ্জুমান আরা, ভাইস চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন হাসান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস, উপজেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী, কুতুব উদ্দীন চৌধুরী, প্রকৌশলী পারভেজ সরোয়ার, প্রকল্প কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, ইউ,পি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, ইউ,পি সদস্য আহমদ কবির ভেট্টা, আইয়ব জমাদার, মহিউদ্দিন, ছৈয়দ আহমদ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো বাইডেনের চিঠিকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা
পরবর্তী নিবন্ধআধ্যাত্মিক শক্তিতে ইসলাম প্রচার করেন খাজা গরীবে নেওয়াজ