রাউজানের প্রবাসী ইয়াছিন চৌধুরীর বাড়ি থেকে লুট হওয়া একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে একদল পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের গাড়ির কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে, হামলায় আহত হয়েছেন পাঁচ পুলিশ। গত সোমবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াছিননগর জানি পাথর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও ফাঁড়ি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর আজিজুল হক নামের এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী প্রবাসী ইয়াসিন চৌধুরী সিআইপির বাড়িতে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে হামলা চালায়। তারা বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে যাওয়ার সময় ওই বাড়ি থেকে একটি পালসার মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় তখন ইয়াছিন চৌধুরী সন্ত্রাসী আজিজুল হককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। গত সোমবার পুলিশের কাছে সংবাদ আসে লুট হওয়া মোটরসাইকেলটি জানিপাথর এলাকার মোহাম্মদ সালমানের বাড়িতে রয়েছে। চিকদাইর ফাঁড়ি পুলিশ রাত ১২টার দিকে গাড়িটি উদ্ধার করতে ওই বাড়িতে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে বাড়ির মালিক সালমানের পুত্র সন্ত্রাসী আজিজুল হকের সহযোগী ফোরকান উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়, হামলায় আহত হন পাঁচ পুলিশ সদস্য।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, রাউজান চিকদাইর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবদুল কাদের, উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ খোরশেদ আলম, কনস্টেবল শাহরিয়ার, রাসেল দে ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। তারা সকলেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে চিকিৎসা নিয়েছেন।
হামলার শিকার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল কাদের বলেন, পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে সুনির্দিষ্ট ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।