ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী দুটি নৌকা ডুবে লিবিয়ার পশ্চিমের দুটি শহরের উপকূলে অন্তত ৫৭ জনের মৃতদেহ ভেসে এসেছে। গত মঙ্গলবার উপকূলরক্ষী এক কর্মকর্তা এবং ত্রাণ কর্মকর্তা এ খবর জানিয়েছেন।
নৌকাডুবি থেকে বেঁচে ফেরা মিশরের নাগরিক বাসাম মাহমুদ বলেন, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ২টায় ইউরোপের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া নৌকা দুটোর একটিতে ৮০ জন মতো যাত্রী ছিল। নৌকা ডুবে যেতে থাকলে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। তারপরও নৌকা পরিচালনার দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনি যাত্রা থামাতে রাজি হননি বলে জানান মাহমুদ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, কেউ এসে আমাদের উদ্ধার না করা পর্যন্ত আমরা লড়াই করছিলাম। পরিস্থিতি খুবই ভয়ঙ্কর ছিল। আমার চোখের সামনেই কয়েকজন মারা গিয়েছিল। খবর বিডিনিউজের।
উপকূলরক্ষী কর্মকর্তা ফাতি আল–জায়ানি বলেন, পূর্ব ত্রিপোলির কারাবুল্লি থেকে ১ শিশুসহ ১১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, অভিবাসনপ্রত্যাশীরা পাকিস্তান, সিরিয়া, তিউনিসিয়া ও মিশর থেকে এসেছিলেন। পশ্চিম ত্রিপোলির সাবরাথায় রেড ক্রিসেন্টের এক ত্রাণকর্মী জানান, তারা গত ছয় দিনে সমুদ্র সৈকত থেকে ৪৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। এদের সবাই ছিল ওই দুই নৌকারই একটিতে যাত্রা করা অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশী। সামনের দিনগুলোতে আরও লাশ ভেসে আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওই ত্রাণকর্মী।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা চলতি মাসে জানিয়েছে, ২০২৩ সালে এ পর্যন্ত ৪৪১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে পানিতে ডুবে মারা গেছে। গত ছয় বছরে ৩ মাসের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা এটিই সর্বোচ্চ।