ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে একটি নৌযান ডুবে গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম গত শনিবার এতথ্য জানিয়েছে। খবর আলুজাজিরা। আইওএম জানিয়েছে, গত শুক্রবার লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সাবরাথার উপকূলে ঘটনা ঘটেছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাকি ২৯ যাত্রীও আর বেঁচে নেই। তবে কাঠের তৈরি নৌকাটি ঠিক কী কারণে ডুবে গেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি। এক টুইটবার্তায় আইওএম বলেছে, ভূমধ্যসাগরে একের পর এক এ ধরনের প্রাণহানির ঘটনাকে স্বাভাবিকভাবে দেখার সুযোগ নেই। অবহেলার কারণে মানুষের জীবন দিয়ে এর দাম দিতে হচ্ছে। টুইটে উল্লেখ করা হয়, আরও মৃত্যু এবং দুর্ভোগ ঠেকাতে জোর অনুসন্ধান এবং উদ্ধার ক্ষমতা বাড়ানোসহ একটি নিরাপদ অবতরণ ব্যবস্থা জরুরিভাবে প্রয়োজন। সামপ্রতিক সময়ে উত্তর আফ্রিকা থেকে উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা বেড়েছে। শুক্রবারের এসব হতভাগ্য ব্যক্তি তাদেরই অংশ। আইএমও জানিয়েছে গত এক সপ্তাহেই ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে কমপক্ষে ৫৩ জন অভিবাসন প্রত্যাশী মারা গেছেন। এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শুক্রবারে ঘটনায় নিহতের নিয়ে ওই এলাকায় নৌকাডুবিতে অভিবাসন প্রত্যাশী নিহতের সংখ্যা প্রায় ৫শ জনে দাঁড়িয়েছে। আর ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে. চলতি মাসের শুরুর দিকে লিবিয়া থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাওয়া একটি নৌকা কয়েক দিন পর ভূমধ্য সাগরে ডুবে যায। এতে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে দীর্ঘদিনে শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর উত্তর আফ্রিকার এ দেশটিতে চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। সেই থেকে এশিয়া কিংবা আফ্রিকা থেকে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাত্রায় অন্যতম রুটে পরিণত হয়েছে লিবিয়া। প্রায়ই দেশটির উপকূলে নৌকাডুবিতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।