ঘূর্ণিঝড় ‘ড্যানিয়েল’ এর জেরে ভারী বৃষ্টি। এমনিতেই জলমগ্ন ছিল উত্তর–পূর্ব লিবিয়া। তার মধ্যেই পানির চাপে ভেঙে পড়ল দু’টি বাঁধ। এতে আগে থেকেই প্লাবিত এলাকায় বাড়ল জলস্তর। মারা গেলেন হাজার হাজার মানুষ। নিখোঁজ তারও কয়েক গুণ। কাদাজলে ঢেকে গিয়েছে জনপদ। দেখে মনে হবে ‘ভূতুড়ে’! প্রসঙ্গত, সোমবার ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল পূর্ব লিবিয়াকে বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশটিতে রেড ক্রিসেন্টের মুখপাত্র তৌফিক আল–শুকরি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে দুই হাজার ৮৪ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। তবে নিখোঁজ রয়েছে নয় হাজার। তাছাড়া এ ঘটনায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২০ হাজার। তবে বেনগাজিতে অবস্থিত লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসন ধারণা করছে ভয়াবহ এই বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
পূর্ব লিবিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওথমান আবদুল জলিল জানিয়েছেন, দেশের পূর্বে শুধু ডারনা শহরেই ৬০০০ মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। সোমবার এ শহর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। অবস্থা দেখে শিহরিত হয়ে জানালেন, ডারনা এখন ‘ভূতুড়ে শহর’।শহরের এখানে–সেখানে পয়ে রয়েছে মৃতদেহ। বহু মানুষ এখনও প্লাবিত ঘরে বন্দি। না খেয়ে দিন কাটছে তাদের। ধসের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে আরও কয়েকশো মৃতদেহ। অনেকেই ভেসে গিয়েছেন সমুদ্রে। মন্ত্রী জানালেন, শুধু ডারনা, বেনগাজি নয়, লিবিয়ার উত্তর–পূর্বের বহু শহর ভেসে গিয়েছে। ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী গ্রামগুলির প্রায় কোনও অস্তিত্বই নেই। কোনও কোনও গ্রামে হাতে গুনে কয়েক জন হয়তো বেঁচে রয়েছে। লিবিয়ার পূর্ব এবং পশ্চিম অংশের প্রশাসনের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। দুই প্রশাসনের মধ্যে বছরের পর বছর সংঘাত চলছে। সে কারণে ব্যাহত হয়েছে উদ্ধারকাজ।