বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান মনে করেন, লিটন দাসের নেতৃত্ব দলে ইতিবাচক প্রভাব রাখে। সামপ্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন অধিনায়ক হিসেবে লিটন মাঠে থাকলে দলের ভেতরে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। ব্যাটিং লাইনআপ হয় অনেক বেশি দৃঢ়। কারন লিটন নিজে যেমন চেষ্টা করেন সেরাটা দিতে তেমনি চেষ্টা করেন সতীর্থদের ভেতর থেকে সেরাটা বের করতে। সাকিব বলেন, অধিনায়ক ছন্দে থাকলে দলের জন্য অনেক ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। এশিয়া কাপের শেষ দুই ম্যাচে লিটন থাকলে ব্যাটিং লাইনআপটা ভালো থাকত। ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বের ভারত এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে খেরতে পারেননি লিটন দাশ। তখন এতটা শাফল করার প্রয়োজন হতো না। রেজাল্ট ইতিবাচক হতো কি হতো না, বলা কঠিন। তবে দলের অন্যদের মনোবল বাড়তি থাকতো।
সামপ্রতিক ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ দলে একাধিক পরিবর্তন আনা হলেও ব্যাটিং অর্ডারে কিছুটা অস্থিরতা দেখা যায়। অভিজ্ঞতার অভাব এবং নেতৃত্বের শূন্যতা সেই অস্থিরতা আরও বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে সাকিবের মতে শুধু ব্যাট হাতে রান নয়, লিটনের নেতৃত্বও দলকে সঠিকভাবে পথ দেখাতে সক্ষম। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার আরও জানান, ম্যাচের ফলাফল সবসময় অধিনায়ক নির্ধারণ করে না। তবে মাঠে তার উপস্থিতি দলের মনোবল যেমন বাড়ায় তেমনি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। তাই ক্রিকেটে অধিনায়কের দায়িত্বটা বেশ গুরুত্বপূর্ন। আর অধিনায়ক যদি সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেন তাহলে সেটা আরো বড় প্রাপ্তি। সামনে থেকে নেতৃত্ব বলতে নিজের সেরাটা দিতে পারা। লিটন বরাবরই বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যাটার। এবারের এশিয়া কাপেও তিনি খারাপ করেননি। তাই গতকাল থেকে শুরু হওয়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও লিটনের থাকা খুব বেশি প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশ দলের জন্য। বিশ্বকাপের মতো বড় আসর সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব ও স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনার মাঝেই সাকিব এই মন্তব্য করেছেন।
