মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত ভাষাতাত্ত্বিক লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড ২০২৫। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম এই অলিম্পিয়াড উদ্বোধন করবেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই অলিম্পিয়াডে চট্টগ্রামের প্রায় ৫০০ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
এ উপলক্ষে গতকাল বিকালে নগরীর কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের আহ্বায়ক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম, অলিম্পিয়াডের সদস্য সচিব মো. আবদুল সহ ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড ২০২৪ সালে প্রথম আয়োজন করে। ২০২৪ সালে প্রথমবারের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ উদ্দীপনার কারণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এ আয়োজন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট বিশ্বের সকল মাতৃভাষার সংরক্ষণ, পরিবর্ধন, পরিমার্জনের কাজ করে থাকে। এই ইনস্টিটিউট বিশ্বের সকল মাতৃভাষার বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাতৃভাষা চর্চা, প্রচার ও প্রসার ঘটানো ইনস্টিটিউটের মূল লক্ষ্য।
এ বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট দ্বিতীয়বারের মতো দেশব্যাপী লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড আয়োজন করছে। রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও ঢাকা অঞ্চল থেকে ক–ক্যাটেগরিতে ১০ জন করে মোট ৮০ জন এবং খ– ক্যাটেগরিতে ১০ জন করে মোট ৮০ জন ফাইনাল রাউন্ডে আগামী ১২ ফেব্রয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে। ফাইনাল রাউন্ডে ২ ক্যাটেগরিতে ৩ জন করে মোট ৬ জন প্রধান উপদেষ্টার নিকট থেকে একুশের অনুষ্ঠানমালায় পুরস্কার গ্রহণ করবেন এবং এই ৬ জন এ বছর অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীবৃন্দ ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ প্রশ্নোত্তরপর্ব ও উন্মুক্ত আলোচনা পরিচালনা করে থাকেন। আঞ্চলিক পর্বে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট এবং উপহার হিসেবে লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের টি–শার্ট, ক্যাপ ও বই পেয়ে থাকেন। লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের আঞ্চলিক পর্বগুলোতে জেলা প্রশাসককে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করা হয় এবং লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের আয়োজনে জেলা প্রশাসক উপস্থিত থেকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা প্রদান করেন।