সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্বখাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২০ এর লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দেন অন্য একজন। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসেন পরীক্ষার্থী নিজেই।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে সাতকানিয়া উপজেলার মো. মুজিবুর রহমান নামে এক পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
মুজিবুর রহমান সাতকানিয়া উপজেলার কেরানী হাটের কেউচিয়া গ্রামের ফজলুল কবিরের পুত্র।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আটক পরীক্ষার্থীর হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন অন্য পরীক্ষার্থী। তবে আজ অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায় মূল পরীক্ষার্থীই অংশ নেন।
ভাইভা বোর্ডে তার হাতের লেখা মিলিয়ে দেখার সময় তার লেখার সাথে পরীক্ষার সময় লেখার মিল না থাকায় সন্দেহ হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি আবু রায়হান দোলন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মিল্টন বিশ্বাস, ডিপিও এবং পিটিআই সুপারের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রক্সির কথা স্বীকার করেন।
আটক পরীক্ষার্থী পেকুয়া উপজেলার মানিক নামে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকার চুক্তির বিনিময়ে অন্য একজন প্রক্সি পরীক্ষার্থীর মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেন।
তাকে থানা হেফাজতে সোপর্দ করা হয়। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বাদী হয়ে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিন ১০০ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১ জুন জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখার অফিস সহায়ক পদে লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে পাশ করে মৌখিক পরীক্ষায় ১৫ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করে সাজা দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।