লালখান বাজার ওয়ার্ডে থাকবে না তারের জঞ্জাল

স্থাপিত হয়েছে আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক সিস্টেম

| সোমবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ১১:০৬ অপরাহ্ণ

সড়কের পাশে পোলে থাকা স্তুপ করা তার কিংবা যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তারের বিশৃংখল পরিবেশ, শহরের নান্দনিকতা প্রকাশের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। এই তারের জঞ্জাল থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে এবার যুগান্তকরী এক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে ১৪ নং লালখানবাজার ওয়ার্ড।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে তারের জঞ্জালমুক্ত নগরী গড়ে তুলতে পাইলট প্রকল্পের আওতায় সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে ওয়ার্ডটি।

প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগী প্লেক্সাস নেট লিমিটিডের ব্যবস্থাপনায় পুরো ওয়ার্ডের সুয়ারেজ ডাক্ট ও সিটি কর্পোরেশনের নালা ব্যবহার করে স্থাপন করা হয়েছে সেমি আন্ডারগ্রাউন্ড এফটিটিএইচ ফাইবার আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক সিস্টেম।

যার ফলে সেবা প্রদানকারীদের তার কিংবা ক্যাবল ওয়ার্ডজুড়ে স্থাপিত ১৯০টি ওডিএফ(অপটিক্যাল ডিস্ট্রিবিউসন ফ্রেম) এর মাধ্যমে সরাসরি চলে যাবে গ্রাহকদের ভবনে স্থাপিত ১৩০০ এর অধিক সিডিএফ (কালেয়ন্ট ড্রিস্ট্রিবিউশন ফ্রেমে)।

প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণের অগ্রযাত্রায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নেওয়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিজ ওয়ার্ডকে নান্দনিক ও নিরাপদ করে গড়ে তুলতেই এমন উদ্যোগ জানিয়েছেন ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল।

তিনি বলেন, ‘স্মার্ট ওয়ার্ডের অংশ হিসেবে একটি নান্দনিক নিরাপদ লালখান বাজার ওয়ার্ড গড়ে তোলার সমন্বিয়ত পদক্ষেপের প্রথম পর্যায়ে শহরের নান্দনিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার লক্ষ্যে যত্রতত্র ঝুলিয়ে রাখা তার অপসারণ ও সেবা প্রদান সংস্থাদের সুশৃংখল ভাবে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে সেমি আন্ডারগ্রাউন্ড এফটিটিএইচ ফাইবার আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক সিস্টেম।

‘নগরীর সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে নাগরিক ও সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সহযোগিতা পাওয়ার বিশ্বাস তার।
এদিকে শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে দেশে প্রথমবারের মত একটি ওয়ার্ডকে ঘিরে স্থাপিত হয়েছে এই সেমি আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ারর্ক জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

স্থাপিত এই নেটওয়ার্কে ভবিষ্যতেও আধুনিক যে কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন প্লেক্সাস নেট লিমিটিডের সিটিও আবু তাহের মন্টু।

তিনি বলেন, এক ইঞ্চি মাটি না খুঁড়েও শুধুমাত্র ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে এ ধরণের নেটয়ার্ক স্থাপন খুবই চ্যালেঞ্জিং।

১ বছরের বেশি সময় পর্যবক্ষেণের পর স্থাপিত নেটওয়ার্কটির দীর্ঘদিনের কার্যকারিতা নিয়ে আমরা আশাবাদী। ১৪নং লালখানবাজার ওয়ার্ড জুড়ে বাস্তবায়িত এই প্রজেক্টির ম্যানেজার দিদারুল আলম দুলু জানান, এটি বাস্তবায়িত হলে গ্রাহকদের সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি তারের জঞ্জাল থেকে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাবে ওয়ার্ডটির মানুষ।

শুধুমাত্র অপটিক্যাল ফাইবার ফ্রেম ব্যবহার করে ভূগর্ভস্থ নেটওয়ার্ক থেকে বাসা বাড়িতে ক্লায়েন্ট ডিস্ট্রিবিউশন ফ্রেমের মাধ্যমে ইন্টারনেটসহ সকল সংযোগ হয়ে উঠবে সহজ ও নিরাপদ’।

এলাকা থেকে যত্রতত্র ঝুলন্ত তার অপসারণের খবরে খুশি স্থানীয়রা।তারা বলছেন প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ও সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর স্বমন্বয়হীনতায় প্রায়শই ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ওয়ার্ডটির নান্দনিক সৌন্দর্য প্রকাশের পাশাপাশি বৃদ্ধি পাবে সেবার মান প্রত্যাশা তাদের।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন উদ্ধোবধনের পর ঝুলন্ত তার অপসারন ও সেবাপ্রদানকারী সংস্থাদের তার আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক সিস্টেম এর আওতায় আনতে এক মাসের মত সময় লাগবে।তবে এসময় গ্রাহকদের সেবায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না বলে জানিয়েছেন তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু টানেলে আবারও দুর্ঘটনা, ক্ষতিগ্রস্ত ডেকোরেশন বোর্ড, আহত ২
পরবর্তী নিবন্ধউখিয়ায় ৪৪ রোহিঙ্গা আটক