লারার প্রতি সম্মান জানিয়েই ৪০০ ছোঁয়ার চেষ্টা করেননি মুল্ডার

স্পোর্টস ডেস্ক | বুধবার , ৯ জুলাই, ২০২৫ at ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ

সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা যিনি দিতে পারতেন, তিনিই বললেন বিশ্বরেকর্ডের হাতছানি থাকলেও কেন সেই চেষ্টায় গেলেন না। কেন ব্রায়ান লারার রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার চেষ্টা না করে আচমকা ইনিংস ঘোষণা করে দিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ভিয়ান মুল্ডার বললেন, তিনি মনে করেন, টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি লারারই থাকা উচিত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিন লাঞ্চ বিরতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেন মুল্ডার। সেই সময় সফরকারীদের রান ছিল ৫ উইকেটে ৬২৬। ৩৬৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুল্ডার। রেকর্ডের অনেক পাতায় ছাপ রেখে যাওয়া তার ৩৩৪ বলের ইনিংস গড়া চারটি ছক্কা ও ৪৯টি চারে। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে একদমই লড়াই করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ফলোঅনে পড়ে দিনের শেষ বেলায় ১৬ ওভার ব্যাট করতে ১ উইকেট হারিয়েছে তারা। যে দাপুটে ব্যাটিং করছিলেন মুল্ডার, তাতে তার রেকর্ড গড়া অবশ্যসম্ভাবী মনে হচ্ছিল। কিন্তু আর ব্যাটিংয়েই নামলেন না তিনি। এ নিয়ে সোমবার দিনের খেলার বাকি সময়ে তুমুল চর্চা চলে। দিনের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার ও সঞ্চালক শন পোলকের এক প্রশ্নের উত্তরে আচমকা ইনিংস ঘোষণার ব্যাখ্যা দেন মুল্ডার। বলেন, ভবিষ্যতে কখনও আবার এমন সুযোগ এলে, তখনও একই কাজ করবেন তিনি। মুল্ডার বলেন প্রথম ব্যাপারটি হচ্ছে বোলিংয়ের জন্য আমরা যথেষ্ট রান পেয়েছি। দ্বিতীয়ত ব্রায়ান লারা একজন কিংবদন্তি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ৪০০ রান করেছিলেন। রেকর্ডটি তার পাশেই মানায়। তিনি বিশেষ একজন। আবার যদি এমনটা করার সুযোগ আমি পাই, তখনও ঠিক এটাই করব। আমি কোচ শুক্রি কনরাডের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। এবং তিনিও একইরকম বলেন। ব্রায়ান লারা একজন কিংবদন্তি এবং রেকর্ডটা তার নামের পাশেই থাকা উচিত। টানা দুই ম্যাচে নিজের সর্বোচ্চ ইনিংস খেললেন মুল্ডার। ঘটনাচক্রে পাওয়া নেতৃত্বের অভিষেকে যেন তিনি ছাড়িয়ে গেলেন নিজের কল্পনাকেও। টেস্ট ক্রিকেটে প্রায় দেড়শ বছরের ইতিহাসে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকে খেললেন তিনশ রানের ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসও এখন তার। অকপটেই বললেন, নিজের কাছে এতটা প্রত্যাশা ছিল না তার। অনুভূতি অবশ্যই বিশেষ। ট্রিপল সেঞ্চুরির কথা তো বাদই, সত্যি বলতে কখনও ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্নও আমি দেখিনি। তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে এই ম্যাচে দলকে জয়ের জন্য একটা ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছি। আকাশ ছোঁয়ার দিনে তিনি ফিরে তাকালেন জাতীয় দলে খেলার শুরুর দিনগুলোর দিকে। সাবেক ও বর্তমান সতীর্থদের প্রতি জানালেন কৃতজ্ঞতা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ’ পুরস্কারে মেসির হ্যাটট্রিক
পরবর্তী নিবন্ধওয়ানডেতে সেরা ইকোনমিতে তাসকিন আহমেদ