লামায় গত দুদিন ধরে একপাল বন্য হাতি ব্যক্তি মালিকানাধীন ফলদ ও বনজ বাগানের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। গজালিয়া ইউনিয়নের সিলিংখাল সংলগ্ন এলাকায় এঘটনা ঘটে। বর্তমানে হাতিগুলো একই এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে বিভিন্ন বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মোস্তফা এগ্রো প্রডাক্টের বাগান ম্যানেজার আব্দুল মালেক বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে আকস্মিকভাবে পাহাড় থেকে ১০/১২টি বন্য হাতির একটি পাল বাগানে নেমে আসে। হাতির পালটি গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাতভর পুরো বাগান জুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। দুই রাতের অব্যাহত হামলায় বাগানের ৫ শতাধিক আম গাছ, নারিকেল গাছ, রাবার গাছসহ অন্যান্য ফলদ-বনজ গাছ ভাংচুর করে এবং উপড়ে ফেলে। একই সময় হাতির পাল বাগানের খামার ঘরটিও ভেঙে ফেলে। এসময় হাতির আক্রমণে বাগান শ্রমিক আব্দুর রহিম গুরুতর আহত হন। এতে ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। এছাড়া পার্শ্ববর্তী অন্যান্য বাগানেও হাতির পালটি ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে।
গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা বলেন, এখনো হাতিগুলো এলাকায় অবস্থান করছে। তাই ভাংচুরের আশংকায় লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন।
লামা বন বিভাগের ডলুছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে হাতির পালটিকে পাহাড়ের দিকে তাড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়চার বলেন, হাতি দ্বারা আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদেরকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।